স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৫ ফেব্রুয়ারি : আজ দিল্লিতে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই দিনেই মহাকুম্ভে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারলেন তিনি। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সঙ্গে নৌকাবিহারও করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে রাজধানীতে ভোটের দিনেই মোদির প্রয়াগরাজ সফর নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে কি দিল্লির নির্বাচনে হিন্দুত্বের তাস খেলতেই মহাকুম্ভে ডুব দেওয়ার জন্য এই দিনটিকে বেছে নিয়েছেন নমো?
বুধবার ১১টা নাগাদ মোদির পুণ্যস্নানের কথা ছিল। সেই সূচি অনুযায়ী এদিন সকালেই প্রয়াগরাজে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে সঙ্গে গঙ্গায় নৌকাবিহার করেন তিনি। কুম্ভমেলার সমস্ত ব্যবস্থাপনা খুঁটিয়ে দেখেন। তারপরই পবিত্র গঙ্গায় ডুব দিয়ে স্নান সারেন মোদি। তাঁর এই প্রয়াগরাজ সফরের আগেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘ভারতের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচার ও সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই তীর্থস্থানগুলোতে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার জন্য ধারাবাহিকভাবে পদক্ষেপ করছেন তিনি।’ জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে সাধু-সন্তদের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে নমোর।
তবে আজ যখন প্রয়াগরাজের সঙ্গমে ডুব দিচ্ছিলেন মোদি, তখন দিল্লিতে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকেই বুথে বুথে ভিড়। ফলে ভোটের দিনেই মোদির মহাকুম্ভে যাওয়া এবং পুণ্যস্নান হিন্দুত্বের পালে ফের হাওয়া দেওয়া হিসাবেই দেখছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোক্ষলাভের চাইতে হিন্দু ভোটবাক্সের কথা মাথায় রেখেই গঙ্গায় ডুব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কয়েকদিন আগেই মহাকুম্ভে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে দ্বিতীয় ‘শাহী স্নান’ ছিল গত ১৮ জানুয়ারি গভীর রাতে। ১০ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে ভিড় জমান। তখনই ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে বিপত্তি ঘটে। তার জেরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান বহু মানুষ। যোগী সরকারের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৩০। কিন্তু তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দলের অভিযোগ, এই সংখ্যা একশোরও বেশি। আসল সংখ্যা গোপন করছেন যোগী। এই অভিযোগে উত্তাল হয়েছে সাংসদও। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই দুর্ঘটনায় যোগীর ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছিল। দলের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছিল। কিন্তু এদিন যোগীর সঙ্গে নৌকাবিহার করে মহাকুম্ভের আয়োজনে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেটই দিলেন মোদি।