Friday, April 25, 2025
বাড়িজাতীয়বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু

বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০২ ডিসেম্বর : ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’ ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার পর থেকেই শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এক টানা বৃষ্টি হচ্ছে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভারী বৃষ্টি প্রভাব ফেলেছে এই দুই রাজ্যের জনজীবনে। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতিও। জলে ডুবে রাস্তা। গত দু’দিনে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ি বৃষ্টির জলের স্রোতে ভেসে যেতেও দেখা গিয়েছে ওই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।

ভারী বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু এবং পদুচেরির বেশ কিছু ছবি-ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। তেমনই কয়েকটি ভিডিয়োয় কৃষ্ণগিরি জেলার জলমগ্ন ছবি মিলেছে। দেখা যাচ্ছে, ওই জেলার উথানগিরি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাস জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে ঢালু জায়গা দিয়ে। শুধু বাস নয়, একই অবস্থা ছোট গাড়িরও। প্রশাসন সূত্রে খবর, কৃষ্ণগিরির উথানগিরিতে রবিবার রাতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটিয়েছে।

শনিবার রাতে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’। রাতভর চলেছে ঝড় এবং বৃষ্টির তাণ্ডব। রবিবার সকালেই অবশ্য ‘ফেনজল’ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে এখনও তার প্রভাব রয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে তামিলনাড়ুর উপকূল এলাকা এবং পুদুচেরির বিস্তীর্ণ অংশে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। বিপর্যস্ত এলাকা থেকে স্থানীয়দের বার করে আনার কাজ চলছে। ভারতীয় সেনাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে।

তামিলনাড়ুর বেশ কয়েকটি জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজলের’ প্রভাবে উপকূল এলাকায় রবিবার সকাল পর্যন্ত হাওয়ার বেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্তও উঠেছিল ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ। তার পর থেকে হাওয়ার দাপট কমলেও বৃষ্টি ক্রমশ বেড়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্নাটক, কেরলের একাংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, জানিয়েছে মৌসম ভবন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য