হরিদ্বার, ১৪ এপ্রিল (হি. স.) : “আগামী ১৫ বছরের মধ্যে নির্মাণ হবে অখণ্ড ভারত। আর সেই অখণ্ড ভারত গড়ার পথে যারা বাধা দেবেন তারা ধুলোয় মিশে যাবেন।“বৃহস্পতিবার হরিদ্বারে এক অনুষ্ঠানে এই হুঙ্কার ছেড়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান তথা সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। ভারতের উত্থানের জন্য যে সনাতন ধর্মের তথা হিন্দুত্ববাদীদের উত্থান প্রয়োজন, তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সঙ্ঘপ্রধান। যদিও ভাগবতের মন্তব্য নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এক সময়ে প্রাচীন ভারতবর্ষের অন্তর্গত ছিল তিব্বত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, ভূটান, আফগানিস্তান বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। ওই দেশগুলিকে ফের একই ছাতার তলায় নিয়ে এসে হিন্দু রাষ্ট্র গড়ে তোলা সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্ন ছিল। সঙ্ঘের প্রচারকরা মনে করেন, পূর্বসূরিদের ওই স্বপ্ন একদিন না একদিন পূরণ হবেই। কেন্দ্রে মোদী সরকার আসীন হওয়ার পরে নতুন করে অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন ফেরি করে বেড়াচ্ছেন সঙ্ঘের পদাধিকারী ও প্রচারকরা। হিন্দুত্বের আবেগের ওপর ভিত্তি করে প্রথমে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কার্যসূচি নিয়ে চলছেন তাঁরা।
এদিন হরিদ্বারে এক অনুষ্ঠানে ফের অখণ্ড ভারতের গান গেয়েছেন সঙ্ঘ প্রধান। তাঁর কথায়, ‘এক হাজার বছর ধরে সনাতন ধর্মকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলেছে। কিন্তু সনাতন ধর্ম মুছে ফেলা যায়নি। উল্টে যাঁরা সনাতন ধর্ম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন তাঁরাই মুছে গিয়েছেন। স্বামী বিবেকানন্দ-ঋষি অরবিন্দরা অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখতেন।
সঙ্ঘ প্রধানের কথায়, ‘আমাদের সাধু-সন্ন্যাসী থেকে জ্যোতিষীরাও বলছেন আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যেই ফের অখণ্ড ভারত নির্মাণ হবে। আমি বলছি, যদি হিন্দুরা ঘুমিয়ে না থাকেন, যদি তাঁরা জেগে ওঠেন তাহলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই অখণ্ড ভারত তৈরি হবে। আমরা প্রত্যেকেই তা নিজের চোখে দেখতে পাব। দেশের প্রয়োজনে আজ ধর্মের বেশী করে প্রয়োজন। ধর্মের উত্থান হলেই ভারতের উত্থান হবে।’