স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ নভেম্বর: পাঁচদিন হয়ে গেল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। এখনও সেভাবে কাজের কাজ কিছুই হল না। শুক্রবার পঞ্চম দিনও মুলতুবি হয়ে গেল অধিবেশনের দুই কক্ষই। অধিবেশন ফের বসবে আগামী সোমবার।
শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই আদানি ইস্যুতে সংসদে হট্টগোল পাকানো শুরু করেছে কংগ্রেস। সঙ্গে যোগ দিয়েছে কয়েকটি বিরোধী দলও। যার জেরে এ পর্যন্ত সেভাবে সংসদ চালানোই যায়নি। শুক্রবারও অধিবেশন শুরুর পরই কংগ্রেস সাংসদরা আদানি ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সঙ্গে যোগ দেয় অন্য কয়েকটি বিরোধী দল। তৃণমূল সেই ইস্যুতে বিক্ষোভে যোগ দেয়নি। এদিকে সম্ভলের মসজিদে সমীক্ষার সময় হিংসার প্রসঙ্গ তুলে সরব হয় সমাজবাদী পার্টিও। ফলে সম্মিলিত বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে সংসদের দুই কক্ষই সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে হয়। এদিন অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় সংসদে বাংলাদেশ ইস্যুতে আলোচনা বা বিবৃতির সম্ভাবনা সোমবার পর্যন্ত খারিজ হয়ে গেল।
তৃণমূল শুরু থেকেই বলে আসছে আদানি ইস্যুতে তাঁরাও আলোচনার পক্ষে। কিন্তু কোনও একটা বিষয় নিয়ে সংসদ অচল করে রাখার পক্ষে রাজ্যের শাসকদল নয়। বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের দুই কক্ষের নেতারা, লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে সংসদের দুই কক্ষ সচল করার কথা বলেন। সংসদ অচল করে রাখার জন্য বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই শিবিরকেই নিশানা করে রাজ্যের শাসকদল। এদিনও আদানি ইস্যুতে বিক্ষোভে যোগ দিতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে।
এদিকে, সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখলেও ইন্ডিয়া জোটে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে তৃণমূলের সমন্বয় অব্যাহত রয়েছে। এদিন সংসদের বাইরে আপের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ একাধিক ইস্যু তুলে এদিন সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আপ সাংসদরা। সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন সাগরিক ঘোষ, নাদিমুল হকের মতো তৃণমূল নেতারাও।