দেওঘর, ১২ এপ্রিল (হি. স.) : ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়েতে উদ্ধারকাজের সময় দড়ি ছিঁড়ে মৃত্যু হল আরও একজনের। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। মঙ্গলবার দুপুরের পর উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে, জীবন ফিরে পেলেন ৪৬ জন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রোপওয়ে দুর্ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। আগামী ২৬ এপ্রিল শুনানি হবে হাইকোর্টে।
দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ের এই রোপওয়ে একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। রবিবার বিকেলে ত্রিকূট পাহাড়ের রোপওয়েতে দু’টি ট্রলির মধ্যে ধাক্কা লাগে। তার জেরে ঝুলতে থাকে অনেকগুলি ট্রলি। ট্রলিগুলিতেই আটকে থাকেন অনেক পর্যটক। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও রোপওয়েতে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারকাজ চালিয়ে যায় ভারতীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী, বায়ুসেনা, আইটিবিপি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৪২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, তখনও বেশ কিছু মানুষ রোপওয়ের ভেতরে জীবন ও মৃত্যুর মাঝে ঝুলে ছিলেন। সেই সংখ্যাটা ছিল।
আইটিবিপি মঙ্গলবার সকালে জানায়, এদিন সকালেই ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৩ জন মহিলা ও দু’টি শিশু। ৩-৫ জন সম্ভবত ট্রলিতে আটকে রয়েছেন। পরে ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়, কিন্তু এদিন দড়ি ছিঁড়ে নীচে পাথর-জমিতে আছড়ে পড়েন এক পর্যটক। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। রোপওয়ে দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এয়ারলিফ্টের সময় নিরাপত্তা বেল্ট খুলে যাওয়ায় ৮৬০ ফুট গভীর খাদে পড়ে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল সোমবার। তার আগে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবার মৃত্যু হয় আরও একজনের। সোমবার যে যুবকের মৃত্যু হয়েছিল তাঁর নাম রাকেশ মন্ডল (৩৬)। দুমকা জেলার সরাইহাট থানার অন্তর্গত কাকনি গ্রামের বাসিন্দা সে।
দেওঘর রোপওয়ে দুর্ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার সার্বিকভাবে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি এদিন বলেছেন, “দেওঘরে রোপওয়ের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বায়ুসেনা, আইটিবিপি এবং এনডিআরএফ টিম মানুষজনকে উদ্ধার করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা মানুষকে উদ্ধারের কাজে নিয়োজিত ছিল। আমরা আটকে পড়া মানুষজনকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সুবিধা প্রদান করেছি।”