স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ অক্টোবর: জম্মু-কাশ্মীরের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ওমর আবদুল্লা। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ার পর প্রথম ভোট হয় উপত্যকায়। সেই ভোটে জয় পেয়ে সরকার গড়ছে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। তব ভোটে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-র সঙ্গে জোট করে লড়লেও সরকারের থাকছে না কংগ্রেস। বাইরে থেকে সমর্থন দেবে বলেই দলীয় সূত্রে খবর।
বুধবার শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল। লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) মনোজ সিন্হার কাছে প্রথমে শপথ নেন ওমর। তার পর একে একে শপথ নেন তাঁর মন্ত্রিসভার আরও পাঁচ সদস্য। তাঁরা হলেন, সাকিনা ইটো, জাভিদ দার, সুরীন্দ্রর চৌধুরি, জাভিদ রাণা। তাঁরা সকলেই এনসি দলের জয়ী প্রার্থী। এ ছাড়াও সতীশ শর্মা নামে আরও এক জন শপথ নেন। তিনি এ বার ভোটে নির্দল হিসাবে লড়েছিলেন।
বুধবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একঝাঁক নেতা-নেত্রী। ওমরের শপথে যোগ দিতে কাশ্মীরে গিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এ ছাড়াও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, সিপিআই নেতা ডি রাজা এবং আপের সঞ্জয় সিংহও যোগ দিয়েছেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জল্পনা চলছিল, ওমরের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন কংগ্রেসের সদস্য। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, এখনই কংগ্রেসের থেকে কোনও মন্ত্রী বাছা হয়নি। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের এক জন জয়ী প্রার্থীকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস এখনই মন্ত্রিসভায় থাকতে রাজি নয়। বাইরে থেকেই সমর্থন দেবে তারা।
এর আগে ২০০৯-১৪ জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ওমর। তবে জম্মু-কাশ্মীর সে সময় পূর্ণাঙ্গ রাজ্য ছিল। এ বারের বিধানসভা ভোটে শ্রীনগরের দু’টি আসন গান্ডেরওয়াল এবং বদগামে জিতেছেন তিনি। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম বিধানসভা ভোট হল জম্মু ও কাশ্মীরে। আর তাতে ক্ষমতা ফের চলে এসেছে আবদুল্লা পরিবারের হাতে। ৯০ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪৬টি আসন। এর মধ্যে ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর পুত্র ওমরের দল এনসি জিতেছে ৪২টিতে। সহযোগী কংগ্রেস ছয় এবং সিপিএম একটিতে। অন্য দিকে, বিজেপি ২৯, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিপল্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) তিনটি আসনে জিতেছে। প্রাক্তন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাজ্জাদ লোনের পিপল্স কনফারেন্স এবং আম আদমি পার্টি (আপ) একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। নির্দল প্রার্থীরা সাতটিতে।