স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ জুন: ডাক ছিল চারশো পারের। কিন্তু ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে একধাক্কায় আসনসংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে এনডিএর। আগের দুবার যেখানে বিজেপির একাই ‘ম্যাজিক ফিগার’ টপকে গিয়েছিল সেখানে তাদের থামতে হয়েছে অনেক আগে। কেন এই অবস্থা? এবার তারই ময়নাতদন্ত করল আরএসএস । সংঘের মতে, বিজেপির আসনসংখ্যা কমার পিছনে অন্যতম কারণ বেকারত্ব ও পরীক্ষা দুর্নীতি নিয়ে তরুণদের ক্ষোভ।
যে কটি রাজ্যে বিজেপি সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে তার মধ্যে অন্যতম নিঃসন্দেহে উত্তরপ্রদেশ আরএসএসের সাম্প্রতিক বৈঠকে উঠে এসেছে সেদিকটাও। যোগীরাজ্যের এই পরিস্থিতির পিছনে দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির ভোটব্যাঙ্ককেই দায়ী করা হয়েছে। ওই ভোটব্যাঙ্ক সমাজবাদী পার্টির করায়ত্ত হওয়াতেই এভাবে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের, মনে করা হচ্ছে তেমনটাই। সব মিলিয়ে সামগ্রিক ভাবে বিজেপির পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার সমস্ত কারণই খুঁজে বের করার চেষ্টা হয়েছে বৈঠকে। নেওয়া হয়েছে আগামিদিনের পরিকল্পনাও।
এক্সিট পোলে কোনও কোনও সংস্থা এনডিএকে চারশোর বেশি আসন দিলেও ফলপ্রকাশের পর দেখা গিয়েছে আসল ছবিটা অনেকটাই আলাদা। বরং বিরোধীরা অনেক বেশি আসন পেয়েছে গত দুবারের তুলনায়। এই পরিস্থিতিতে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জুনের মাঝখানে গোরক্ষপুরে গিয়ে পাঁচিদন ছিলেন। সেই সময়ে তিনি বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন। এর পরই লখনউয়ে গত ২৬ জুন থেকে চারদিনের বৈঠকে মিলিত হয়েছে আরএসএস নেতারা। উদ্দেশ্য, গোটা ছবিটা বুঝে নিয়ে বিজেপির হারের কাটাছেঁড়া করা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসেবল।
সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, ”সংঘ ও বিজেপির বিশ্বাস উত্তরপ্রদেশে ভোটব্যাঙ্ক সমাজবাদী পার্টির দিকে ঝুঁকেছে। এই পরিস্থিতিতে আরএসএস দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির দিকে ফোকাস করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।” সেই সঙ্গেই বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যেও পদক্ষেপ করা হবে।