স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩১ মার্চ : আয়কর দপ্তরের চাপে কার্যত ভুলুন্ঠিত কংগ্রেস। একের পর এক নোটিসে দেশের প্রধান বিরোধী দল জর্জরিত। শনিবার হাত শিবিরকে আরও দুই নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ। সব মিলিয়ে বকেয়া করের অঙ্ক যেটা আয়কর বিভাগ দেখাচ্ছে, সেটা রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো। কংগ্রেসের দাবি, এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ৩,৫৬৭ কোটি টাকা জরিমানা দাবি করেছে আয়কর বিভাগ।
শুক্রবারই প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার আয়কর নোটিস পেয়েছে কংগ্রেস। ২০১৪-’১৫ এবং ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের জন্য ১,৭৪৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। এর আগে ১৯৯৪-’৯৫, ২০১৭-’১৮ থেকে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই অঙ্কটা ছিল প্রায় ১৮০০ কোটি। ফলে সব মিলিয়ে মোট ৩,৫৬৭ কোটি টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে কংগ্রেসকে
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আর তিন সপ্তাহ বাকি। তার আগে পর পর আয়কর নোটিসে চাপে কংগ্রেস। এমনিতেই দলের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করে রেখেছে আয়কর বিভাগ। ভোটের আগে এই বিপুল জরিমানা মেটাতে হলে হাত শিবির টাকার অভাবে ভোটে লড়তে পারবে কিনা সেটা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস আগেই অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রের মোদি সরকার কর সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
যদিও এর পালটা এসেছে আয়কর বিভাগ সূত্রেও। আয়কর বিভাগের দাবি, কংগ্রেস যে অভিযোগ করছে তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পদক্ষেপ করা হচ্ছে সেটাও মিথ্যা। এর আগে বার বার কংগ্রেসকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। ৩১ মার্চের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি। এমনকী আদালতেও ওরা স্বস্তি পায়নি। সেকারণেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আয়কর বিভাগ মেনে নিচ্ছে, রাজনৈতিক দলকে চাঁদার জন্য আয়কর দিতে হয় না। কিন্তু সেটা ২০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় হলে। কংগ্রেস তার চেয়ে বেশি আয়েও কর দেয়নি। সেকারণেই নোটিস দেওয়া হয়েছে।