স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২১ মার্চ : তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। তিনি শীর্ষ আদালতকে অবমাননা করছেন, একথা জানিয়ে রীতিমতো কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হল তাঁকে। কে পনমুড়ি নামের এক ডিএমকে নেতাকে মন্ত্রী পদে পুনর্বহালের অনুমতি না দেওয়ার কারণেই এই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল দক্ষিণী রাজ্যের রাজ্যপাল আর এন রবিকে। তাঁকে একদিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই মন্ত্রিসভায় শপথ নিতে হবে ওই নেতাকে।
ঠিক কী হয়েছিল? আসলে মাদ্রাজ হাই কোর্টের রায়ে সম্পত্তি মামলায় জড়িয়ে পড়া পনমুড়ির বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্ট ওই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে থমকে যায় তাঁর দুবছরের জেলযাত্রাও। এহেন পরিস্থিতিতে স্ট্যালিন সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন পনমুড়িকে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় পুনর্বহাল করার জন্য। কিন্তু রাজ্যপাল আর এন রবি জানান, যেহেতু তাঁর সাজায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি, তাই তাঁকে ফের মন্ত্রী পদে বহাল করা যাবে না।
আর এপ্রসঙ্গেই এদিন প্রধানমন্ত্রী ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, ”যদি রাজ্যপালই সংবিধান না মানেন, তাহলে সরকার কী করবে?” সেই সঙ্গেই তিনি জানাচ্ছেন, ”তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ও তাঁর আচরণ নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ওঁর এরকম করার কোনও অধিকার নেই। উনি সুপ্রিম কোর্টের বিরোধিতা করছেন। আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি। আগামিকাল সিদ্ধান্ত নেব। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।”
সাম্প্রতিক সময়ে বার বার তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতান্তরের বিষয়টি সামনে এসেছে। ২০২১ সালে তিনি রাজ্যের দায়িত্বে আসেন। আর তার পর থেকেই প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর সমস্যা তৈরি হয়েছে। ডিএমকে সরকার নিয়মিত অভিযোগ করেছে, সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন আর এন রবি। এমনকী, রাজ্যপাল বিল ক্লিয়ার করতেও বিলম্ব করছেন, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।