স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৪ মার্চ : বৃহস্পতিবার রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ‘এক দেশ, এক ভোটে’র রিপোর্ট জমা দিল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কোবিন্দের কমিটি। দেশে একযোগে নির্বাচনের জন্য সংবিধানের শেষ পাঁচটি অনুচ্ছেদ সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে খবর! এদিকে ভোটের মুখে রিপোর্ট জমা পড়ায় আশঙ্কায় বিরোধী দলগুলি।
বিজেপি সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক দেশ, এক ভোটের প্রস্তাবক। যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিরোধী দলগুলি গোড়া থেকেই এই পদ্ধতির সমালোচনায় মুখর। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ‘এক দেশ, এক ভোট’ আনতে চায় মোদি। এর ফলে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে দেশে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী বলেও বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ। যদিও লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট সেরে ফেলার পক্ষে মোদি সরকারের যুক্তি হল, এতে নির্বাচনের খরচ কমবে।
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্ব কমিটি গড়েছিল কেন্দ্র। কোবিন্দ ছাড়াও ওই কমিটিতে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভায় বিরোধী দলের প্রাক্তন নেতা গুলাম নবি আজাদ, প্রাক্তন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিং, লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব সুভাষ কাশ্যপ এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও প্যানেলের সদস্য করা হয়েছিল, যদিও ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর বিরোধিতা করে কমিটির সদস্য হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এই কমিটিই বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির কাছে ১৮, ৬২৬ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। লোকসভা ভোটের মুখে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র রিপোর্ট জমা পড়ায় জল্পনা তুঙ্গে। চিন্তিত বিরোধী দলগুলি। এনডিটিভির দাবি, সর্বসম্মতভাবে গোটা দেশে একসঙ্গে ভোট করার পক্ষেই সওয়াল করেছে কোবিন্দ কমিটি।