স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ মার্চ: রাজনীতি ও দুর্নীতি যেন সমার্থক! এই দুইয়ের মিশেলে যথকিঞ্চিত পেশিশক্তির ফোড়ন পড়লে তো সোনায় সোহাগা। তরতর করে ময়দানে এগিয়ে যাওয়া রোখে কে! সবমিলিয়ে রাজনীতিকদের সম্পর্কে জনমানসে ধারণা খুব একটা উজ্জ্বল নয় তা বলাই বাহুল্য। এই প্রেক্ষাপটে এক রিপোর্ট মোতাবেক, রাজ্যসভার ৩৩ শতাংশ সাংসদের নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ হার মানায় কুবেরকেও!
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ । বলা হয়েছে, সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সাংসদদের ৩৩ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মোকদ্দমা। তাঁদের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা! ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ এবং এডিআরের যৌথ সমীক্ষা মোতাবেক, রাজ্যসভার দুজন সাংসদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা বা খুনের মামলা চলছে। চার সাংসদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারা বা হত্যার চেষ্টার ধারায় মামলা আছে। মোট ২২৫ জন রাজ্যসভার সাংসদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে তালিকায় কোন দল কোথায় রয়েছে তাও বলা হয়েছে এডিআর রিপোর্টে। দেখা যাচ্ছে. সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে দাগি সাংসদদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বিজেপিতে। রাজ্যসভার দলের ৯০ সাংসদের মধ্যে ২৩ শতাংশের মানে ফৌজজারি মামলা রয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় কংগ্রেস। হাত শিবিরের ২৮ জন সাংসদ ‘দাগি’। তৃতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের ১৩ সাংসদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যা প্রায় ৩৮ শতাংশ।
এডিআর-এর রিপোর্ট মোতাবেক, এই দাগি সাংসদদের সম্পত্তির পরিমাণ হার মানায় কুবেরকেও! বর্তমানে রাজ্যসভার ২২৫ জন সদস্যের মিলিত সম্পত্তি ১৯ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই হিসাবে প্রত্যেক রাজ্যসভার সদস্যের গড় সম্পদের পরিমাণ ৮৭ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। সবমিলিয়ে, রাজনীতিতে ‘দাগি’ সাংসদদের সংখ্যা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো