স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০১ ফেব্রুয়ারি : আয়কর কাঠামোয় কোনও বদল আসছে না। কারণ, এটা অন্তর্বর্তী বাজেট। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মার্চ মাস পর্যন্ত ছিল। সেগুলির সময়সীমা বাড়ানো হবে।
এখন সাত লাখ টাকা পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হয় না। খুচরো বিক্রেতাদের আয়করের উর্ধসীমা ২ কোটি থেকে ৩ কোটি হয়েছে। কর্পোরেট কর ৩০ শতাংশ থেকে কমে ২২ শতাংশ হয়েছে।
দেশের সমস্ত বিমানবন্দরের প্রসার ঘটানো হবে। ১০০০ নতুন বিমানের বরাতও দিয়েছে ভারতীয় বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি।
প্রত্যক্ষ কর অনেক বেড়েছে। আয়কর জমা দেওয়া বেড়েছে ২.৪ গুন।
রেলের ৪০ হাজার সাধারণ বগি বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো হবে। ট্রেনের গতি বাড়বে।
এখন আমাদের ১৪৯টি বিমানবন্দর রয়েছে। ভারতীয় সংস্থারা এক হাজারেরও বেশি বিমানের অর্ডার দিয়েছে। আগামী দিনে আরও সস্তা হবে বিমান সফর।
ধর্মীয় পর্যটনে জোর দেবে কেন্দ্র। রাজ্যে রাজ্যে পর্যটন স্থান গুলির উন্নয়ন চাই। দরকারে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে। লক্ষদ্বীর-সহ দেশের সর্বত্র পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বেড়েছে। আমরা এর জন্য বিদেশি বন্ধুদের সুবিধা দিচ্ছি। আমরা বিকশিত ভারতের কথা ভাবছি। ৭৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে যাতে মাইলস্টোনগুলি টপকানো যায়। আমাদের এখানে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে তার মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা হবে।
দেশে অনেক নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হবে।
মেট্রো রেল কে সব রকম সাহায্য দেব। গোটা দেশের মেট্রো রেলের উন্নয়ন হবে।
তিনটি রেলওয়ে করিডর তৈরি হবে। শক্তি, খনিজ এবং সিমেন্ট করিডর হবে। এ ছাড়া বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের করিডর এবং ট্রাফিক ডেনসিটি করিডর তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ইতিমধ্যেই ৩ কোটি বাড়ি দেওয়া হয়েছে আরও ২ কোটি বাড়ি দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
মৎস্যজীবীদের আমরা সাহায্য করেছি। দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। মৎস্যসম্পদ যোজনা অনেক উপকার দিয়েছে। আগামী দিনে উৎপাদন আরও বাড়বে।
যাঁরা দুগ্ধজাত সামগ্রী উৎপাদন করেন, তাঁদের জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি। কী ভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সেটা দেখা হবে। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি দুধ পাওয়া যায় কিন্তু উৎপাদনশীলতা কম। সে দিকে নজর দেওয়া হবে।
৮৩ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে দেশে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন হচ্ছে। এর ফলে এক কোটি মহিলা স্বনির্ভর হয়েছেন। ‘লাখপতি দিদি’র সংখ্যা দু’কোটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি যোজনা ১০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।
সার্ভাইকাল ক্যানসারের টিকা দেওয়া হবে ৯ থেকে ১৪ বছরের মেয়েদের।
সব আশাকর্মীর জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প।
বাড়ির ছাদে সৌরপ্যানেল লাগানোর ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। প্রতি মাসে ১ কোটি পরিবারকে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
আমরা দেশের পূর্বাঞ্চলকে বৃদ্ধির আওতায় আনতে চাই। পূর্বাঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। আবাস যোজনায় তিন কোটি বাড়ি তৈরি হয়েছে। আর দু’কোটি বাড়ি তৈরি হবে আগামী পাঁচ বছরে। এক কোটি বাড়ির ছাদে সৌরশক্তি প্রকল্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের পবিত্র দিনে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিডের কঠিন সময়ে ভারত গোটা বিশ্বকে পথ দেখাতে পেরেছে। ইউরোপের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক করিডর নতুন দিশা দেখাবে। আগামী দিনে এই করিডর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পুঁজি আসছে ভারতে। আমরা সাফল্যের সঙ্গে মূদ্রাস্ফীতিকে মোকাবিলা করেছি। বিশ্বায়নকে নতুন ভাবে দেখছি। তার নতুন সংজ্ঞা দিচ্ছি। কোভিড পরবর্তী যে অর্থনীতি, যাতে নতুন বিশ্ব তৈরি হচ্ছে, তাতে সামিল হয়েছে ভারত।
দেশের সব স্তরের মানুষ, দেশের সব এলাকার মানুষ অর্থনৈতিক সাফল্যে সামিল হয়েছেন। এখন এক বাজার এক কর ব্যবস্থায় অর্থনীতি এগোচ্ছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক আগের তুলনায় কমছে।
আমরা এমন প্রশাসন চাই যার উপরে মানুষের বিশ্বাস থাকবে। মানুষ আগের তুলনায় বেশি রোজগার করছেন। প্রকৃত আয় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। মানুষ আগের তুলনায় ভাল রয়েছেন। গত ১০ বছরে মানুষ নিজেদের আশা আকাঙ্খা বেশি করে মেটাতে পারছেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রচুর বাড়ি দেওয়া হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। অনেক ক্ষেত্রেই যার মালিক মহিলারা। ফলে তাঁদের আত্মসম্মান বেড়েছে। মেয়েরা অনেক বেশি কাজে যোগ দিচ্ছেন। ১০ বছরে ২৮ শতাংশ অংশগ্রহণ বেড়েছে।