স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারি : প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিংয়ের ছেলে তথা প্রাক্তন সাংসদ মানবেন্দ্র সিং গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মানবেন্দ্র সিংয়ের স্ত্রী চিত্রা সিং। গাড়িতে মানবেন্দ্রর ছেলে হামির সিংও ছিলেন। তিনিও আহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। গাড়ির চালকও আহত হন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাজস্থানের আলওয়ারে দুর্ঘটনাটি ঘটে। চিত্রার মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। মানবেন্দ্র, তাঁর ছেলে হামির এবং গাড়ির চালককে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালে মৃত্য হয়েছিল যশবন্ত সিংয়ের। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পরে মৃ্ত্যু হয়েছিল তাঁর। বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন যশবন্ত। তারপরে কোমায় ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা বহু চেষ্টা করেও তাঁর ঘুম ভাঙাতে পারেননি আর। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। আর এবার তাঁর ছেলে মানবেন্দ্র এবং তাঁর পরিবার ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আলওয়ারের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার জানান, দুর্ঘটনার কারণ নাকি এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দিল্লি মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে খুব জোরে গাড়িটি চলছিল। তার পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইডওয়ালে ধাক্কা মারেন। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, চোট গুরুতর হলেও মানবেন্দ্র, তাঁর ছেলে হামির এবং গাড়ির চালক দীনেশ রাওয়াতের প্রাণ সংশয় নেই আপাতত। তবে মানবেন্দ্রর ফুসফুস পাংচার হয়েছে এবং পাজরের হাড় ভেঙেছে। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে জয়পুরে যাচ্ছিলেন মানবেন্দ্র এবং তাঁর পরিবার। একটি জিপ কম্পাস গাড়িতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। গাড়িতে তাঁদের পোষ্য কুকুরও ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিকেল ৫টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, যশবন্ত পুত্র মানবেন্দ্র সিং ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালে বারমের আসন থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন। এরপর ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজস্থান বিধানসভার বিধায়কও ছিলেন তিনি। ভারতীয় সেনার কর্নেল পদে আছেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে তিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে মানবেন্দ্র সাংবাদিকতা করতেন। স্টেটসম্যান এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতো সংবাদপত্রে কাজ করেছিলেন তিনি। কারগিল যুদ্ধের সময় তিনি জেনারেল বেদ প্রকাশ মালিকের মিডিয়া পরামর্শদাতা ছিলেন। রাজনীতিতে প্রবেশের পর স্ত্রী চিত্রাকে চিরকাল পাশে পেয়েছেন মানবেন্দ্র। তাঁর প্রচারে সঙ্গে থাকতেন চিত্রা। এদিকে যশবন্ত অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়কালে বিদেশ থেকে অর্থ মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন।