Monday, February 17, 2025
বাড়িজাতীয়কেন্দ্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি, জানাল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি

কেন্দ্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি, জানাল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি


কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর (হি. স.): কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি। বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন বা এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশনে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় সংস্থার তরফেই ব্যাঙ্ককে লেনদেন বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিবৃতি জারি করে জানাল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগেই প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল। এ বার মিশনারিজ অফ চ্যারিটিও বিবৃতিতে দিয়ে জানিয়ে দিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি। বৃতিতে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি জানিয়েছে, সংস্থার বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন বা এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি। আমাদের জানানো হয়েছিল, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই কারণেই সংস্থার তরফে লেনদেন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়।

এর আগে কেন্দ্র এই বিষয়ে বিবৃতি দেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির পুনর্নবীকরণের আবেদন খতিয়ে দেখার সময় বেশ কিছু গোলমেলে তথ্য তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেই সমস্ত তথ্য এবং রেকর্ড মাথায় রেখেই মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির আবেদন খারিজ করেছে তারা। পুনর্নবীকরণের আবেদন আরও একবার খতিয়ে দেখার জন্য মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে কোনও রকম আবেদন করেনি।

এই রেজিস্ট্রেশন ২০২১-এর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ ছিল। এই বৈধতা সাধারণ নিয়মেই চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তারা ফ্রিজ করেনি। বরং চ্যারিটই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে সংস্থার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করেছে। প্রেস বিবৃতির শেষ লাইনে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।



মিশনারিজ অব চ্যারিটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের খবর সামনে আসতেই হতবাক এবং স্তম্ভিত হয়ে টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লেখেন, ‘কেন্দ্র ভারতের মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। বড়দিনের উৎসবের সময় এটা শুনে আমি স্তম্ভিত। মিশনারিজ অব চ্যারিটির ২২ হাজার রোগী এবং কর্মী রয়েছেন। তাঁরা খাবার এবং ওষুধ ছাড়া কী করে থাকবেন?’ টুইটে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। এখন জানা গেল মিশনারিজ অব চ্যারিটি নিজেই তাঁদের এসবিআই-কে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আর্জি জানিয়েছিল ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য