স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ জুন : বিমানবন্দরে ফেলে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াকে। আমেরিকায় পড়তে আসার জন্য সমস্ত বৈধ কাগজ থাকলেও, অপরাধীর মতো আচরণ করে বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে ফেরানো হচ্ছে। মার্কিন অভিবাসন আধিকারিকদের এহেন আচরণের ভিডিও ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই এই বিষয়ে মুখ খুলল ভারতীয় দূতাবাস।
কুণাল জৈন নামে এক যুবক গত রবিবার আমেরিকার নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে ভারতীয় পড়ুয়ার দুর্দশার ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন। একইসঙ্গে লেখেন, ‘গত রাতে এক ভারতীয় পড়ুয়াকে নেওয়ার্ক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হল। হাতে হাতকড়া পরানো কাঁদতে থাকা ওই পড়ুয়ার সঙ্গে জঘন্য অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়। ওই যুবক স্বপ্ন পূরণ করতে এখানে এসেছিলেন, কারও ক্ষতি করতে নয়।’ একইসঙ্গে ভারতীয় দূতাবাস ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ‘অনাবাসী ভারতীয় হিসেবে আমি অসহায় বোধ করছি। আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। এটা মানবিক বিপর্যয়।’
পড়ুয়ার সঙ্গে মার্কিন পুলিশ ও অভিবাসন আধিকারিকদের ভয়ংকর দুর্ব্যবহারের ওই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই এই ইস্যুতে মুখ খুলল আমেরিকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। এক্স হ্যান্ডেলে দূতাবাস জানায়, ‘সোশাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট আমাদের নজরে এসেছে যেখানে দাবি করা হয়েছে একজন ভারতীয় নাগরিক নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা এই বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ভারতীয় নাগরিকদের সাহায্যের জন্য দূতাবাস সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
উল্লেখ্য, আমেরিকায় বিদেশি পড়ুয়াদের চরম হেনস্থার মুখে পড়ার ঘটনা এই নতুন নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর কড়া অভিবাসন নীতির মাধ্যমে বিদেশিদের আমেরিকা থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। যার জেরে অবৈধবাসীদের চরম অমানবিকতার সঙ্গে দেশছাড়া করা হয়েছিল আগেই। হাতে হাতকড়া পরিয়ে ঘৃণ্য অপরাধীর মতো আচরণ করা হয় তাঁদের সঙ্গে। পড়ুয়াদের ক্ষেতেও সেই একই পথে হাঁটে প্রশাসন। ভিসা পেয়েই আমেরিকার বিমান ধরলেও, এখানে আসার পর অভিবাসন আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়তে হয় পড়ুয়াদের। জেরায় আধিকারিকরা সন্তুষ্ট না হলে পত্রপাঠ অপরাধীর মতো তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই ভারতীয় পড়ুয়ার সঙ্গে ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছিল।