Friday, February 7, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদমিয়ানমারে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা সেনাবাহিনীর

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা সেনাবাহিনীর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ এপ্রিল।  থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী কারেন রাজ্যে স্থানীয় জাতিগত বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।থাই সীমান্ত সংলগ্ন লাই কাই কাও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার পর রোববার এ হামলা চালানো হয় বলে বিদ্রোহী দলটির মুখপাত্র ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

গত বছর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করার পর থেকে লাই কাই কাও গণতন্ত্রপন্থিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল। ডিসেম্বর থাই সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের লাই কাই কাওয়ের আশপাশে দুপক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দা শহরটির ছেড়ে পালিয়ে গেছে।মিয়ানমারের সবচেয়ে পুরনো জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) মুখপাত্র জানিয়েছেন, রোববারের লড়াইয়ের পর সেনাবাহিনী শক্তি বৃদ্ধি করছে বলে তাদের মনে হচ্ছে।তবে সোমবার নতুন করে কোনো সংঘর্ষ হয়েছে কি না, তার খবর এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র পাদোহ সাও টাও নি।  

তিনি জানান, রোববারের লড়াইয়ে তাদের যোদ্ধারা ৪৫ জন সেনাকে হত্যা করেছে আর তারা নিজেদের দুই যোদ্ধাকে হারিয়েছেন। “তারা মোটেও পিছু হটেনি, বরং আরও সেনা পাঠাচ্ছে,” বলেছেন তিনি।  মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের পর গঠিত বেসামরিক ছায়া সরকারের সমর্থনপুষ্ট পাবলিক ভয়েস টেলিভিশন জানিয়েছে, লড়াই চলাকালে বিদ্রোহীরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনকে আটক করেছে।তবে রয়টার্স এ দাবি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি এবং মন্তব্যের জন্য কল করার হলেও সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ফোন ধরেননি বলে জানিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে সেনারা লাই কাই কাওয়ে লোকজনকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করলে লড়াই শুরু হয়। তারপর থেকে অধিকাংশ সময়ই শহরটি কেএনইউয়ের নিয়ন্ত্রণ আছে, তবে মাঝে মাঝে সেনাবাহিনী শহরটি পুনর্দখলের দাবি জানায়।পাদোহ সাও টাও নি জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিকটবর্তী একটি এলাকায় প্রবেশ করার পর কেএনইউ তাদের পিছু হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে রোববার দুপক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।এর প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনী বিমান হামলা চালায় বলে জানিয়েছে বিদ্রোহীরা ও স্থানীয় গণমাধ্যম।সীমান্তবর্তী থাই শহর মায়ে সটের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা গুলির ও বিস্ফোরণের মতো ভারী শব্দ শুনেছেন।ওই এলাকার বেসামরিকদের রক্ষায় সেখানে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার জন্য ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল কেএনইউ। 

গত বছর অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনী। তারপর থেকে দেশটিজুড়ে অস্থিরতা চলছে। দেশটির জান্তাবিরোধী বেসামরিক বাহিনীগুলো প্রায়ই স্থানীয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিলে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য