Wednesday, January 15, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদইরানের কারাগারে ফাঁসির প্রতিবাদ, সংঘর্ষে আহত নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদি

ইরানের কারাগারে ফাঁসির প্রতিবাদ, সংঘর্ষে আহত নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদি

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১০ আগস্ট: ইরানের রাজধানী তেহরানের আলোচিত এভিন কারাগারে রক্ষীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি ও কয়েকজন নারী বন্দী।নার্গিসের পরিবার জানায়, এক বন্দীর ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় কারারক্ষীদের সঙ্গে বন্দীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে এভিন কারাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন নার্গিস।এই ঘটনায় কারাবন্দী নার্গিসের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে তাঁর পরিবার।

ইরানি কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার এভিন কারাগারে মারামারির কথা স্বীকার করেছে। এ জন্য নার্গিস মোহাম্মদিকে একজন ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে বন্দীদের মারধর করার কথা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।নার্গিসের বয়স ৫২ বছর। ২০২৩ সালে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। ইরানে মৃত্যুদণ্ড ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করায় তিনি সম্মানজনক এ পুরস্কার পান।

২০২১ সালের নভেম্বর থেকে নার্গিস কারাগারে আটক। তবে এর আগে গত এক দশক ধরে বিভিন্ন সময় তাঁকে আটক করা হয়েছে। মুক্তিও দেওয়া হয়েছে।নার্গিসের পরিবারের সদস্যরা ফ্রান্সের প্যারিসে বসবাস করেন। তাঁদের অভিযোগ, নার্গিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁরা। এমনকি ফোনে কথা বলারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে অন্যান্য বন্দীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কারাগারের ভেতরের এই ঘটনা শুনেছেন তারা। ফাঁসি কার্যকরের ঘটনার পর কারাগারে থাকা নারী বন্দীরা কারা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন।

অধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে ইরানে গোলামরেজা রাসেয়িসহ প্রায় ৩০ বন্দীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ২০২২ সালের বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে গত মঙ্গলবার তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।ওই দিনই এক বিবৃতিতে নার্গিসের পরিবার জানায়, গোলামরেজা রাসেয়ির ফাঁসির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীদের সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক মারামারি–সংঘর্ষ হয়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, কারারক্ষীরা নার্গিসের বুকে ঘুষি মেরেছে। এর পর তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বুকে ব্যথাও রয়েছে। আঘাত পাওয়ার পর কারাগার প্রাঙ্গণে জ্ঞান হারিয়েছিলেন নার্গিস। ক্ষত–বিক্ষত নার্গিসকে এভিন কারাগারের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাইরের কোনো হাসাপাতালে পাঠানো হয়নি।তবে ইরানের কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এভিন কারাগারে বন্দীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলেছে, নার্গিস ও অন্যান্য নারী বন্দীরা সেদিন কারাগারের বাইরের দিকের ফটকে তালা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য