Saturday, February 8, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদ‘ইউক্রেইনে জৈব গবেষণাগার’, যুক্তরাষ্ট্রের জবাব চায় চীন

‘ইউক্রেইনে জৈব গবেষণাগার’, যুক্তরাষ্ট্রের জবাব চায় চীন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মার্চ। ইউক্রেইনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত জৈব গবেষণাগার নিয়ে রাশিয়ার হাজির করা নথিপত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটনের জবাব চেয়েছে চীন।জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন বলেছেন, এসব নথিপত্র বিশ্বের মনোযোগ পাওয়ার উপযুক্ত এবং এতে যাদের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে তাদের এই উদ্বেগজনক বিষয় নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত।

শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।ইউক্রেইনের ‘বিভিন্ন ল্যাব থেকে পাওয়া তথ্যপ্রমাণ’ তুলে ধরতে রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদে শুক্রবারের এই বৈঠকটি ডেকেছিল।চীনের রাষ্ট্রদূত জুন বলেন, (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে) রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্রের ক্ষতির শিকার হওয়া চীন মনে করে অপূরণীয় ক্ষতি এড়াতে জৈব সামরিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যউপাত্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগ ও মনোযোগের কারণ হওয়া উচিত।“রাশিয়া নতুন আবিষ্কৃত প্রাসঙ্গিক নথিগুলোর আরও তথ্য প্রকাশ করেছে; এ বিষয়ে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহ দূর করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত প্রশ্নের জবাব দেওয়া এবং সময়মতো বিস্তারিত ব্যাখ্যা হাজির করা,” বলেছেন জুন।

“খুব বেশি কিছু চেয়েছি বলে মনে হচ্ছে না আমাদের। এই বিষয়ে কোনো ধরনের দ্বিচারিতা করা ঠিক হবে না,” বলেছেন তিনি। বৈঠকে জাতিসংঘে মস্কোর স্থায়ী প্রতিনিধি ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ইউক্রেইনের ল্যাবগুলোতে যে বিপজ্জনক প্যাথোজেনগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছিল, সেগুলো ছড়িয়ে পড়লে ইউরোপে তার প্রভাব এত ভয়াবহ হতো যে তা ‘কল্পনা করাও কঠিন’।এর ক্ষয়ক্ষতি করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষয়ক্ষতিকেও ছাপিয়ে যেতে পারতো, বলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এক ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়, ইউক্রেইনে পেন্টাগনের অর্থায়নে পরিচালিত ল্যাবগুলোতে ‘জৈব অস্ত্রের বিভিন্ন উপাদান’ নিয়ে কাজ হচ্ছিল এবং এই ল্যাবগুলোর সঙ্গে গত কয়েক বছরে দেখা দেওয়া ডিরোফাইলারিয়েসিস, যক্ষ্মা ও এভিয়ান ফ্লুর প্রাদুর্ভাবেরও যোগ থাকতে পারে

ওয়াশিংটন বেশ কয়েকবছর ধরেই ইউক্রেইনে জৈব গবেষণাগার নিয়ে রাশিয়ার দাবিকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র সেখানে কেবল শান্তিপূর্ণ মেডিকেল গবেষণাতেই অর্থায়ন করছে, এমনটি বলে আসছে তারা।

তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভিক্টোরিয়া নুলান্ড ইউক্রেইনের বিভিন্ন ল্যাব ও সেখানকার উপকরণে রাশিয়ার ‘সম্ভাব্য নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা জানান।

এদিকে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি ইজুমি নাকামিতসু বলেছেন, ইউক্রেইনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জৈব কর্মসূচি নিয়ে অভিযোগ ও এ বিষয়ে রাশিয়া যেসব তথ্য দিয়েছে তা যাচাই করার সক্ষমতা বা এখতিয়ার কোনোটিই বৈশ্বিক এ সংস্থাটির নেই।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য