Tuesday, October 22, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদযুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের সংশোধনী নিয়ে কড়া সমালোচনা ব্লিঙ্কেনের

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের সংশোধনী নিয়ে কড়া সমালোচনা ব্লিঙ্কেনের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ জুন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে হামাস যে সংশোধনী দিয়েছে, তার কয়েকটি বাস্তবায়ন করার মতো নয়। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।গতকাল বুধবার দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন এসব কথা বলেন। তিনি মনে করেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি নিয়ে হামাস যে ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তাতে গাজায় যুদ্ধ চলতে থাকবে।গত মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেছে। তারা বলছে, এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে গাজায় একটি ‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর সম্ভব হবে।বুধবার ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে থাকা প্রস্তাবটিতে অনেকগুলো জায়গায় পরিবর্তন চায় হামাস। গত রাতে মিসরের সহকর্মীদের (মিসরের প্রতিনিধি) সঙ্গে পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আর আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে (কাতারের প্রধানমন্ত্রী) আলোচনা হলো। হামাসের কিছু পরিবর্তন কার্যকরের উপযোগী। কয়েকটি উপযোগী নয়।’

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ব্যাপারে প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। তারা একে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে।হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এতে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গাজার ওপর চলমান আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এবং পুরো গাজা উপত্যকা থেকে (ইসরায়েলি বাহিনীকে) প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।’গত ৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজা উপত্যকায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব ঘোষণার সময়ও একই ধরনের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রস্তাবে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং শত্রুতার স্থায়ী অবসানের কথা বলা হয়েছে।

এখন হামাসের অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন প্রস্তাবটি ঠিক কোন জায়গায় সাংঘর্ষিক, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার ব্লিঙ্কেন চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার জন্য সরাসরি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটিকে দোষারোপ করেছেন।ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে যে চুক্তিটি আছে, তার সঙ্গে গত ৬ মে হামাসের দেওয়া প্রস্তাবের কার্যত ভিন্নতা নেই। এটি এমন এক চুক্তি, যার পেছনে গোটা বিশ্ব আছে, এটি এমন এক চুক্তি, যা ইসরায়েল গ্রহণ করেছে। একটিমাত্র শব্দ ব্যবহার করে হামাস এর জবাব দিতে পারত। তা হলো: হ্যাঁ। তা না করে হামাস প্রায় দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করল এবং প্রস্তাবে আরও পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিল। আগে গ্রহণ করেছিল এমন কিছু বিষয়ে তারা অবস্থান পাল্টেছে।’এদিকে হামাসের কর্মকর্তা তাহের আল নুনু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন আচরণ করছেন, যেন তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার রাতে আল জাজিরা মুবাশেরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল-নুনু বলেন, ‘তাঁর নিরপেক্ষতার অভাব আছে। তাঁর স্বচ্ছতার অভাব আছে। তিনি দ্বিমুখী মনোভাব নিয়ে কাজ করেন। তিনি [ফিলিস্তিনি] প্রতিরোধকে এমনভাবে দেখানোর চেষ্টা করছেন, যেন তারাই চুক্তিতে বাধা সৃষ্টিকারী পক্ষ।আল-নুনু আরও বলেন, গত ৬ মে কাতার ও মিসর যেভাবে প্রস্তাব দিয়েছে, সেভাবেই তা গ্রহণ করেছিল হামাস। ইসরায়েলই সেখানে সংশোধনী আনতে বলেছিল। মঙ্গলবার হামাস শুধু ইসরায়েলের দেওয়া কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাবে পাল্টা সংশোধনী চেয়েছে।এদিকে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যকার মতবিরোধ দূর করতে আলোচনা চলবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য