স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ মে: গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের চালান বন্ধ করে দেওয়ার যে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হুমকির পর আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত গিলাড এরডান এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম কান রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গিলাড এরডান বলেন, ‘যুদ্ধের শুরু থেকে যে প্রেসিডেন্টের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসছি, তাঁর এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া কঠিন এবং তা অত্যন্ত হতাশাজনক।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আপত্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল রাফা শহরে ট্যাংক পাঠিয়েছে এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান চালাচ্ছে। তাদের দাবি, রাফা শহরটি এখন হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা একমাত্র ঘাঁটি।ফিলিস্তিনের বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের অনেকে এ রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছে।সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় বড় ধরনের অভিযান চালায়, তাহলে তিনি দেশটিকে (ইসরায়েল) মার্কিন অস্ত্র ও বোমার কিছু চালান বন্ধ করে দেবেন। তিনি মনে করেন, এসব বোমা ব্যবহার করে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে। একে অন্যায় বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এটি এখন পর্যন্ত বাইডেনের দেওয়া সবচেয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি।বাইডেনের এমন হুমকি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত গিলাড এরডান। তাঁর আশঙ্কা, বাইডেনের এমন বক্তব্য ইরান, হামাস এবং হিজবুল্লাহকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলবে।এরডান বলেন, ‘রাফার মতো গুরুত্বপূর্ণ ও কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে যদি ইসরায়েলি বাহিনীকে ঢুকতে না দেওয়া হয় তবে হাজারো সন্ত্রাসীর কী হবে? জিম্মিদের কী হবে? হামাসের নেতাদের কী হবে? আমরা কি আদৌ আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব?’
এরডান মনে করে, শেষ পর্যন্ত নিজস্ব নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা করা দরকার, তাই ইসরায়েলকে করতে হবে।এদিকে এএফপির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, আজ ভোরে রাফাতে ব্যাপক গোলা হামলার খবর পেয়েছেন তাঁরা। পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গাজা উপত্যকার কেন্দ্রভাগের উত্তরে ‘হামাসের অবস্থান’ লক্ষ্য করেও হামলা চালাচ্ছে তারা।গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী মিসরসংলগ্ন রাফা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে এ সীমান্তটি প্রধান প্রবেশ পথ হিসেবে বিবেচিত।