স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জানুয়ারি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে গত বছরের ৬ জানুয়ারি হামলার দায় যে মূলত তার পূর্বসূরী ডনাল্ড ট্রাম্পের, ওই ঘটনার প্রথম বর্ষপূর্তিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন নাগরিকদেরকে তা-ই বলবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সময় সকালে বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ক্যাপিটলে ভাষণ দেবেন; এক বছর আগে এ দিনটিতে বাইডেনের জয় নিশ্চিত করা ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের ফল অনুমোদন ঠেকানোর ব্যর্থ চেষ্টায় ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা এই কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরাসরি ট্রাম্পের নাম নিতে বাইডেন ও তার শীর্ষ সহযোগীদের মধ্যে অনীহা দেখা গেছে।
এমনকী রিপাবলিকান সাবেক প্রেসিডেন্ট যখন তার নির্বাচনে হারা নিয়ে একের পর এক মিথ্যা বলে গেছেন, অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট, ইতিহাসবিদ ও নাগরিক অধিকার কর্মীরা প্রায় আড়াইশ বছরের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও বাইডেন ও তার সহযোগীদের এর প্রত্যুত্তর দিতে দেখা যায়নি।
কয়েক মাস ধরে আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের পর পুনর্গঠন ও কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করায় উদ্বুদ্ধ করতে ব্যস্ত ছিলেন বাইডেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিরতি দিয়ে বাইডেন বৃহস্পতিবার ক্যাপিটলে হামলায় ট্রাম্পের দায় নিয়ে কথা বলবেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ক্যাপিটলে যা ঘটেছিল তার গুরুত্ব এবং ওই বিশৃঙ্খলা ও তাণ্ডবের দায় যে মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরই, তা তুলে ধরবেন।
মার্কিন জনগণ ও সমর্থকদের বিভ্রান্ত করতে এবং যা ঘটেছিল তাতে তার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে সাবেক প্রেসিডেন্ট যেসব মিথ্যা ছড়িয়েছেন বাইডেন তারও জবাব দেবেন, বলেছেন সাকি।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে ফ্লোরিডার মার-আ-লগোতে ট্রাম্পেরও সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। যদিও পরে তিনি ক্যাপিটলে হামলা নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের তদন্ত ও গণমাধ্যমের ‘পক্ষপাত এবং অসততাকে’ দায়ী করে ওই সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে দেন।
ট্রাম্পের এক মুখপাত্র টেইলর বুদোভিচ বলেছেন, বাইডেন যে ৬ জানুয়ারি ‘জাতিকে আরও বিভক্ত করারই চেষ্টা করবেন’, তা মোটেও ‘আশ্চর্যজনক নয়’।
“ডেমোক্র্যাটরা কেবল বিভক্ত করতেই জানে,” বলেছেন তিনি।
এক বছর আগে ক্যাপিটলে ওই দাঙ্গার দিন ৪ জন নিহত হয়েছিল; আহত পুলিশের এক কর্মকর্তা মারা যান পরদিন। ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের সঙ্গে গত বছরে ৬ জানুয়ারি কয়েক ঘণ্টার ওই সংঘর্ষে পুলিশের কয়েক ডজন সদস্য আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার জেরে ৪ পুলিশ সদস্য আত্মহত্যাও করেন।