স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২০ডিসেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের ফোয়েনিক্স থেকে হনুলুলুগামী হাওয়াইয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঝাঁকুনির (টারবুলেন্স) কারণে কমপক্ষে ৩৬ আরোহী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ১১ জন। খবর বিবিসির।এ ৩৩০-২০০ বিমানটিতে ২৭৮ জন যাত্রী ছিলেন। গত রোববার সকালে হনুলুলুর ড্যানিয়েল কে ইনোউয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগমুহূর্তে এইচএ৩৫ ফ্লাইটটিতে ঝাঁকুনি হয়। উড়োজাহাজের একজন যাত্রী বলেছেন, ঝাঁকুনির মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে তাঁরা চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠছিলেন।হাওয়াইয়ান এয়ারলাইনসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ছোটখাটো আঘাতের কারণে বেশ কয়েকজন যাত্রী ও ক্রুকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাড়তি সুরক্ষার জন্য কয়েকজনকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যাওয়া, থেঁতলে যাওয়া, অচেতন হয়ে যাওয়া এবং মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে ২০ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন যাত্রী এবং ৩ জন ক্রু। এর মধ্যে ১৪ মাস বয়সী এক শিশু ও এক কিশোর রয়েছে।হাওয়াইয়ান এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জন স্নুক বলেন, জরুরি সেবা বিভাগ থেকে যে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।কী কারণে বিমানটি ঝাঁকুনির কবলে পড়েছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ঝাঁকুনির সময়ে ওই এলাকায় বজ্রপাত হয়েছে।গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে।যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী, যেসব কারণে ঝাঁকুনি হতে পারে; বাতাসের গতিবিধি যা সাধারণত দেখা যায় না, বায়ুমণ্ডলীয় চাপ, জেট স্ট্রিম, পর্বতের চারপাশের বাতাস, বজ্রপাত। কখনো কখনো পাইলটরা ঝাঁকুনির আভাস পেয়ে যান। আবার কখনো পূর্বাভাস ছাড়াই ঝাঁকুনির কবলে পড়তে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি
সম্পরকিত প্রবন্ধ