স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ ডিসেম্বরঃ কুয়েত সফরে গিয়ে বৈশ্বিক উন্নয়নের দৌড়ে ভারতের সাফল্যের জয়গান গাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানালেন, ‘সময় বদলেছে, ভারতও নয়া মেজাজে এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের দৌড়ে। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে উঠে এসেছে আমাদের দেশ।’ শুধু তাই নয়, কুয়েতকে অতীত স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত সেই সব দেশের মধ্যে একটি যে কুয়েতের স্বাধীনতার পর একে স্বতন্ত্র দেশের স্বীকৃতি দিয়েছিল।
শনিবার কুয়েতের মাটিতে পা রেখে সেখানে উপস্থিত ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী এর পর ‘হালা মোদি’ অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হয়ে মোদি বলেন, “মাত্র দুই ঘণ্টা হল আমি এখানে এসেছি। এখানে আসার পর আমায় যেভাবে অভ্যর্থনা জানানো হল তাতে আমি অভিভূত। আপনজনের ছোঁয়া পাচ্ছি এখানে। মনে হচ্ছে ছোট ভারতবর্ষ নেমে এসেছে এই দেশে।” একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত থেকে কুয়েত আসতে ৪ ঘণ্টা মতো সময় লাগে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর এখানে আসতে ৪ দশক সময় লেগে গেল।” উল্লেখ্য, ৪৩ বছর পর কুয়েতে পা রেখেছেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। শেষবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখানে এসেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।
এর পর কুয়েত প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনেক গভীর। ভারত সেই দেশ যে কুয়েতকে তাঁদের স্বাধীনতার পর মান্যতা দিয়েছিল। কুয়েত সরকার ও এখানকার জনগণকে আমি ধন্যবাদ জানাই। ভারত কুয়েতের সম্পর্ক সভ্যতার, সাগরের, বাণিজ্যের। শুধু কূটনীতিতে নয়, আত্মিকভাবে আমরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। শুধু বর্তমান নয়, অতীতের সঙ্গেও আমরা জুড়ে রয়েছি। যখন ভারতের প্রয়োজন পড়েছে কুয়েত আমাদের লিকুইড অক্সিজেন দিয়েছে। ভারতও কুয়েতকে ভ্যাকসিন ও মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে সংকটের সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারতের রয়েছে প্রযুক্তি, দক্ষ শ্রমিক যা নয়া কুয়েতকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।”
একইসঙ্গে ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারত নয়া মেজাজে বৈশ্বিক দৌড়ে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত। বিশ্বের একনম্বর ফিনটেক ইকোসিস্টেম, তৃতীয় বৃহত্তম স্টাটআপ ইকোসিস্টেম, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নির্মাতা হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের গ্রোথ ইঞ্জিন ও বিশ্ব উন্নয়নের প্রধান হাব।”