স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ নভেম্বর : স্মার্ট সিটির যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামল ব্যর্থ পুলিশ ও ট্রাফিক প্রশাসন। গত কয়েক মাসে একাধিকবার আগরতলা শহরে অভিযান চালালেও যানজটের সমস্যা নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেনি উদ্দিধারী প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আগরতলা শহরের রাস্তার পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা যত্রতত্রভাবে দ্বিচক্র যান রাস্তার পাশে রেখে শহরের ট্রাফিক জ্যাম মারাত্মক আকার ধারণ করায়। একাধিকবার আগরতলা শহরের রাজপথে নেমে অভিযান চালিয়েছেন ট্রাফিক এসপি মানিক দাসের নেতৃত্বে থাকা ট্রাফিক কর্মীরা এবং পুলিশ।
একইভাবে বুধবার সকালে আগরতলা শহরের বটতলা এলাকায় অভিযান চালান এসপি ও সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ ট্রাফিক কর্মী ও পুলিশ কর্মীরা। অভিযানে উপরোক্ত বিষয়গুলি প্রত্যক্ষ করেন ট্রাফিক এসপি। পরবর্তী সময়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, গাড়ির গতি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কম বটতলা এলাকায়। এ বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক কর্মীরা আলোচনা শুরু করেছেন। পাশাপাশি রাস্তার মধ্যে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী বাইক এবং স্কুটি দাঁড় করে রাখছে। এতে ট্রাফিক জ্যাম আরো বেশি তৈরি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে নির্দিষ্ট পার্কিং জোনে তারা যাতে বাইক এবং স্কুটি রাখেন। অপরদিকে কিছু হকার রাস্তার পাশে ভেন্ডার নিয়ে ব্যবসা করছে।
রাস্তায় এভাবে ভেন্ডার নিয়ে ব্যবসা করলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং ট্রাফিক জ্যাম আরও বেশি মারাত্মক রূপ নিতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তাদের বলা হবে যাতে কোনভাবেই রাস্তার উপর ভেন্ডার নিয়ে ব্যবসা না করে। এখন লক্ষ্য করার বিষয় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে যে বিষয়গুলি ট্রাফিক এসপি উত্থাপন করেছেন সেগুলি কতটা বাস্তবে কার্যকর হয়। কারণ শহরে ট্রাফিক জ্যামের কারণে মানুষের চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ছে। শহরের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট এতটা প্রবল হচ্ছে যে জরুরী পরিষেবার গাড়ি পর্যন্ত আটকে পড়ে। অধিকাংশ ট্রাফিক সিগন্যাল শহরের মধ্যে আরও বেশি যানজট তৈরি করছে। কারণ কম দূরত্বে ট্রাফিক সিগন্যাল থাকায় ১ থেকে ২ মিনিট পরপরই শহরে গাড়ি বাইক নিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে মানুষকে। ফলে ট্রাফিক সিগন্যাল শহরের যানজটের অন্যতম কারণ বলাও চলে।