স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ অক্টোবর : রাজধানীর ইন্দ্রনগর স্থিত মঙ্গলালোক শক্তিসদন থেকে নিখোঁজ এক যুবতী। নিখোঁজ যুবতীর পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ মঙ্গলালোক শক্তিসদন কতৃপক্ষ তাদের মেয়েকে বিক্রয় করে দিয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় মার্চ মাসে আমবাসার এক নাবালিকা রাজু ঘোষ নামে এক যুবকের সাথে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময় নাবালিকার পরিবারের লোকজন নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন মেয়েটি মানসিকভাবে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে গন্ডাছড়ায় বেড়াতে গিয়ে আবার শর্মিলা দেবনাথ নামে নাবালিকা মেয়েটি পুনঃরায় রাজু ঘোষের সাথে পালিয়ে যায়। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে গন্ডাছড়া থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। পরবর্তী সময় পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে প্রেরন করে। এরই মধ্যে নাবালিকার বয়স ১৮ বছর পেরিয়ে যায়। তারপর ঐ যুবতী মা-বাবার কাছে যেতে অস্বীকার করে। তখন ধলাই জেলা সি.ডাব্লিও.সি-র নির্দেশে যুবতীর ঠাঁই হয় ইন্দ্রনগর স্থিত মঙ্গলালোক শক্তিসদনে। যুবতীর পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকবার ইন্দ্রনগর স্থিত মঙ্গলালোক শক্তিসদনে গিয়ে যুবতীর সাথে কথা বলে। যুবতীর মায়ের অভিযোগ তাদের মেয়ে তাদেরকে জানিয়েছে মঙ্গলালোক শক্তিসদনে সে খুব কষ্টে আছে। ঠিক ভাবে তাকে খাবার দেওয়া হয় না।
এরই মধ্যে শুক্রবার তারা মেয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে জানতে পারেন মঙ্গলালোক শক্তিসদন থেকে তাদের মেয়ে নিখোঁজ। তাদের অভিযোগ মঙ্গলালোক শক্তিসদন কর্তৃপক্ষ তাদের মেয়েকে বিক্রয় করে দিয়েছে। অপরদিকে হোমের সুপার গায়ত্রী গোস্বামী জানান, মেয়েটি রাজু ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেছিল কর্তৃপক্ষকে। তখন কর্তৃপক্ষ তাকে বাধা দেয়। তারপরও শর্মিলা দেবনাথ হোম কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন জানিয়ে আসছিল সে তার স্বামী রাজু ঘোষের বাড়িতে যেতে চায়। মেয়েটির বক্তব্য ছিল, তার পরিবার যদি রাজু ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেয় তাহলে সে বাড়িতে যাবে। নাহলে সে রাজু ঘোষের কাছে চলে যাবে। এ বিষয় নিয়ে মেয়েটির পরিবারের সাথে মেয়েটির ঝামেলা চলছিল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার মেয়েটি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে হোম থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময় সে পালিয়ে গিয়ে ফোন করে কর্তৃপক্ষকে জানায় সে রাজু ঘোষের বাড়িতে চলে গেছে। তারপর যথারীতি পুলিশকে এ বিষয়ে জানানো হয়। এখন দেখার বিষয় তদন্তে কি বের হয়ে আসে। অপরদিকে হোম থেকে আরও একটি মেয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রশ্ন হল গেইটে গার্ড থাকার পরও কিভাবে পালিয়ে গেল দুজন। হোমের সুপার গায়ত্রী গোস্বামী দায় এড়িয়ে বলেন কেউ যদি পালিয়ে যেতে চায় তাকে আটকানোর ক্ষমতা কারোর নেই। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তারা দায় এড়িয়ে আরো বলেন, হোম মানে জেল নয়। যে কাউকে আটকে রাখা হবে। এবং যাদের রাখা হয় তাদের ডেকে আনা হয় না।