Friday, June 13, 2025
বাড়িরাজ্যউপনির্বাচনে প্রহসনের অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট চাইছে বামফ্রন্ট 

উপনির্বাচনে প্রহসনের অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট চাইছে বামফ্রন্ট 

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ সেপ্টেম্বর :  শাসক দল বিজেপি ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে জনসমর্থন হারিয়েও কোন শিক্ষা নেয়নি। ২০২২ সালের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের মত আজকে ২৩ ধনপুর এবং ২০ বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন প্রহসনাত্মক করেছে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার না করে কিভাবে গলা টিপে মারা যায় সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে শাসক দল বিজেপি। এবং এই প্রহসন করা হয়েছে সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপার রেড্ডির দ্বারা।

 এবং এই ঘটনায় সিপাহীজলা জেলার জেলা শাসক ডঃ বিশাল কুমার পর্যন্ত মেরুদন্ড সোজা রাখতে পারেনি। তাই অবিলম্বে জেলা পুলিশ সুপারকে সিপাহীজলা থেকে সরানো এবং দুটি বিধানসভায় কেন্দ্রে পুরোপুরিভাবে পুনরায় ভোট করার দাবি জানানো হচ্ছে। এবং এর জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটের পর সিপিআইএম রাজ্য কমিটির অফিস থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা বললেন সিপিআইএম দলের সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন এদিন সকাল সাতটা থেকেই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দল ভোটের রেগিং এবং ছাপ্পা ভোট করেছে। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের চেহারা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশন যাতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, এর জন্য দাবি করলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিকে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে আহ্বায়ক নারায়ণ কর বলেন, সরব প্রচার শেষ হওয়ার পর দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে বহিরাগতদের এনে জুড়ো করে শাসক দল বিজেপি। বিধায়কদের নেতৃত্বে প্রায় দুই হাজার বহিরাগত নিয়ে ভোটের দিন এই ঘটনা সংঘটিত করেছে। এবং সরব প্রচার শেষ হওয়ার পর থেকে ভোট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি হামলা, হুমকি, ধমকি থেকে শুরু করে সব ধরনের সন্ত্রাস সংগঠিত করেছে শাসক দল। এবং এ বিষয়ে ভোটের আগেই সিইও, এসপি এবং স্থানীয় দুটি থানার পুলিশকে অবগত করা হয়েছিল।

কিন্তু তারপরেও শান্তিপূর্ণ হয়নি দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এবং সরাসরি এদের তিনি মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেন। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছে। এবং এ বিষয়ে সিইওকে জানানো হয়েছিল। শাসক দল দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হতে পারবে না জেনে মানুষকে প্রলোভিত করার চেষ্টা করেছে। এবং ভোটের আগে এস এস জি -কে ৫০০০ টাকা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ১০০০ টাকা এবং শাড়ি, ভারতীয় মজদুর সংঘের কর্মীদের ২০০০ টাকা করে দিয়ে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙেছে। বিধায়কগণ পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরেছে। এবং গোটা ভোট অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছে। তাই বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে পুনরায় ভোট চাওয়া হচ্ছে বলে জানান নারায়ণ কর। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ভানু লাল সাহা, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!