স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ মে : টি পি এস সি দ্বারা পরিচালিত সমস্ত পরীক্ষায় যোগ্যতা হিসেবে বাংলা এবং ককবরক ভাষার ধারণা অন্তর্ভুক্ত করা সহ পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা।
এদিন চেয়ারম্যান ডাঃ এ রাস্তোগির কাছে ডেপুটেশন প্রদান করে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের গুরুত্ব পাওয়ার বিষয়ে এই প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। দাবি সনদে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন উল্লেখ করেছেন, ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞাপ্তি মূলে এগ্রিকালচার অফিসার পদে সাতটি শুন্যপদ পূরণের বিজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তির মধ্যে চাকুরি প্রার্থীর পিআরটিসি এবং ককবরক ও বাংলা ভাষা জানা বাঞ্ছনীয় বলা হয়নি। যার কারণে বহির্রাজ্যের বেকাররাও এই পদগুলিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি প্রতিটি চাকরিতেই পিআরটিসি এবং বাংলা ও ককবরক ভাষা জানা বাধ্যতামূলক করে রাজ্যের প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দাবি জানান।
ডেপুটেশনের পর বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, দেখা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন কোন পদে নিয়োগের জন্য পিআরটিসি থাকা ও ককবরক এবং বাংলা ভাষা জানা বাধ্যতামূলক করলেও আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে করা হচ্ছে না। এতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বহির্রাজ্যের কাউকে প্রাধান্য দিতে এগুলো করে চলেছে টি পি এস সি বোর্ড। এবং এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেছেন দেখবেন। চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে যেহেতু পরীক্ষা হয়নি তাই বিষয়টি পিআরটিসি সাথে বাংলা এবং ককবরক ভাষা জানা বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। এবং এ বিষয়ে বিগত দিনের বিধানসভায় বারংবার তোলা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসে নি সরকার। তিনি আরো বলেন যেহেতু ত্রিপুরা রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা বহির্রাজ্যের গিয়ে চাকুরির সুযোগ পাচ্ছে না, তাহলে কেন বহির্রাজ্যের ছেলেমেয়েদের জন্য ত্রিপুরায় দরজা খোলা থাকবে?