Sunday, September 8, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,২৫ এপ্রিল: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে সাগরের তলদেশে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার এক ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর সতর্কতা তুলে নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোররাত প্রায় ৩টার দিকে ভূমিকম্পটি হয়, এর পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও প্রায় দুই ঘণ্টা পর সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি পরাঘাত হলেও হতাহতের কোনো খবর হয়নি।সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলীয় শহর পাডাং এর বাসিন্দারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সুনামি সতর্কতার সাইরেন শোনার পর তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, রাতেই সবাইকে উঁচু স্থানে পাঠানো শুরু হয়ে যায়।পাডাংয়ের বাসিন্দা হেনড্রা বলেন, “সুনামি আসছে শুনেই আমরা দৌঁড় দেই। আমি শুধু আমার পরিবারকে সঙ্গে নিতে পেরেছি, আমরা অন্য কিছু আনতে পারিনি।”দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমণ সংস্থা সংস্থা বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং যে কোনো সময় আবার বাইরে চলে আসতে হতে পারে এমন সম্ভাবনায় বাড়ির গেইটগুলো খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “বিশেষভাবে যারা উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করছেন, যদি কোনো ভূমিকম্প ৩০ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হয়, অনুগ্রহ করে তাৎক্ষণিকভাবে উঁচু স্থানে চলে যান।”ভূমিকম্প কেন্দ্রের সবচেয়ে নিকটবর্তী দ্বীপ মেনতাওয়াইয়ের কিছু অংশে ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। 

তারা আরও জানায়, বেশ কয়েকটি পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং পশ্চিম সুমাত্রা উপকূলের তানা বালা দ্বীপে মূল ভূমিকম্পের পর হওয়া জোয়ারের পানির স্তর ১১ সেন্টিমিটার বেশি উঁচু রেকর্ড করা হয়েছে।দুর্যোগ প্রশমণ সংস্থার ছাড়া ভিডিও ফুটেজে মেনতাওয়াই দ্বীপের একটি গ্রামের দলে দলে লোকজনকে রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির মধ্যে খালি পায়ে ও মোটরসাইকেলে করে উঁচু স্থানের দিকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। গ্রামটির একটি হাসপাতালের মেঝেতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর ভবনটি খালি করে রোগীদের সামনের খোলা জায়গায় এনে রাখা হয়।   ভূমিকম্পটি পশ্চিম সুমাত্রা ও উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের জেলা ও শহরগুলোতে অনুভূত হয়েছে। অনেকগুলো এলাকাতেই বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।২০০৯ সালে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশ ও এর প্রধান শহর পাডাংয়ে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ১১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ ভূমিকম্পে আরও অনেক বেশি মানুষ আহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়া তথাকথিত ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা’ (প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার) এর ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহু দ্বীপের সমষ্টি, এই এলাকাটিতে পৃথিবী পৃষ্ঠের অনেকগুলো পৃথক খণ্ড (প্লেট) মিলিত হওয়ায় এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় একটি অঞ্চল। এখানে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। 

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য