Friday, October 18, 2024
বাড়িরাজ্যআপদ বিদায় করার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ অপেক্ষা করছে : জিতেন্দ্র

আপদ বিদায় করার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ অপেক্ষা করছে : জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ জানুয়ারি :  ২০১৮ সালে মিথ্যার উপর ভর করে, কালো টাকা ছড়িয়ে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সাথে ডজনে ডজনে মন্ত্রী নেতারা উড়ে এসে রাজ্যে মানুষকে ঠকানোর জন্য প্রতারিত করেছেন। আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রথম দিন থেকে বামফ্রন্ট আক্রান্ত, নানাভাবে লাঞ্ছিত এবং অপদস্ত হয়েছে। কিন্তু এখন সারা রাজ্যের মানুষ এবং গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। কারণ গণতন্ত্রের দুষ্মন এবং সংবিধানের হত্যারক বিজেপি গত পাঁচটি বছর ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের বুকের উপর স্টিল লোলার ও কুশাসন চালিয়েছে।

 বিগত দিনে অর্জন করা সমস্ত কিছু ভেঙে পাঁচ বছরে তছনছ করেছে বিজেপি। শুধু তাই নয়। রাজ্যের গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ স্তব্ধ করে দিয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু যুবক-যুবতী মগজ বিকৃত করে, চরিত্র নষ্ট করে তাদের ঠেঙ্গারে বাহিনীতে পরিণত করেছে। তাই আপদ বিদায় করার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ অপেক্ষা করে আছে নির্বাচন কমিশনের দিনক্ষণ ঘোষণা তারিখের জন্য। সোমবার হাঁপানিয়া স্থিত এলাকায় সি পি আই এম ডুকলি মহকুমা কমিটির আয়োজিত সভায় বক্তব্য রেখে এমনটাই বললেন সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন পুনঃ প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে এই সভায় জিতেন্দ্র চৌধুরী বক্তব্য রেখে আরো বলেন, বিজেপির নেতারা ২০১৮ সালে রাজ্যে এসে বলেছিলেন প্রথম মন্ত্রিসভা থেকেই ভীষণ ডকুমেন্টের প্রতিশ্রুতি পালন করা শুরু হবে। এর জন্য ৫ বছর সময় লাগবে না। তিন বছরের মধ্যে ত্রিপুরা মডেল রাজ্য হিসেবে গড়ে উঠবে। কিন্তু দেখা গেছে প্রথম মন্ত্রিসভায় কোন জনমুখী সিদ্ধান্ত ছিল না। সংবিধান হওয়ার পর এভাবে কোন রাজ্যে গণতন্ত্র বলাৎকার হয়নি, এভাবে বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্যকে গত পাঁচটি বছরে খুব সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে নিকেশ করার প্রচেষ্টা করেছে।

 এবং সংবিধানকে দুর্বল করা ও মানুষের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া যায় তার প্রেক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আরো বলেন গত পাঁচ বছরে বিজেপির কিছু মুষ্টিমেয় নেতা কর্মী আঙ্গুল ফোলে বটগাছ হয়েছে। এবং তাদের নেতা সারা দেশের মধ্যে বর্তমানে ছাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা হিসেবে পরিচিত। তিনি বক্তৃতা করছেন সারা রাজ্যে নাকি উন্নয়ন হচ্ছে। সেই উন্নয়ন কোথায়, গেলে দেখা যায় সমস্ত উন্নয়ন মুখ থাকবে পড়ে আছে। আরো বলেন স্কুলগুলিতে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা লাটে উঠেছে। এভাবে পাঁচটি বছরে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিয়েছে বিজেপি সরকার। পূর্বতন সরকার রাবার যেভাবে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা হয়েছিল, বুধজংনগরে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা হয়েছিল। এবং জুটমিল গড়ে তোলা হয়েছিল। এগুলি বর্তমান সরকারের বদান্যতায় শ্মশানে পরিণত হয়েছে বলে জানান। শাসকদলের কতিপয় কিছু মন্ডল নেতা ও সংবিধান বহির্ভূত কিছু লোক আজ কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং কোটি টাকার মালিক। তাদের কোন এক সময় ভিটে মাটি পর্যন্ত ছিল না। তাদের ভাঙ্গা সাইকেল পর্যন্ত ছিল না, তারা এসি গাড়ির মালিক। বিজেপি এসে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্লোগান তুলেছিল, কিন্তু আজ নেশার সাগরে ভাসছে ত্রিপুরা। সরকারের আরও সমালোচনা করে জিতেন্দ্র বলেন গত পাঁচ বছরে কোন একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রাজ্যে স্থাপন হয়নি, কোন বিদ্যালয় স্থাপন হয়নি এবং কোন হাসপাতাল স্থাপন হয়নি। বরং বিদেশী মদের দোকান সারা রাজ্যে খুলেছে। যেসব কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা পূবর্তন সরকার করেছিল সেগুলিতে তালা মেরেছে দিয়েছে বিজেপি সরকার। রাজ্যের বিজেপি ভালো করে বুঝতে পারছে রাজ্যের মানুষ এইগুলি মেনে নেবে না। তাই নতুন করে চক্রান্তের ফাঁদে ফেলতে ঘরে ঘরে সুশাসন, রিপোর্ট কার্ড, জনবিশ্বাস যাত্রা সহ বিভিন্ন জাল বিছিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ এখন এগুলি বুঝতে পেরে এগিয়ে আসছে বলে জানান তিনি। আয়োজিত সভার আগে রাজধানীর ড্রপগেট এলাকা থেকে একটি ছিল সংগঠিত করা হয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্য, ডুকলি মহাকুমা কমিটির সম্পাদক নারায়ন দেব, সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক রতন দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য