স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৪ ডিসেম্বর : শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে সরকার চারটি নয়া শ্রমকোড এনেছে। নতুন চারটি শ্রম কোড হল কর্মসংস্থান, মজুরি, শিল্প সম্পর্ক এবং সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধি। বিগত দিনের ২৯ টি শ্রম আইন একসাথে এই চারটি শ্রমকোডে পরিণত করা হয়েছে। এর দ্বারা শ্রমিকরা সুরক্ষিতভাবে কাজ করতে পারবে। বৃহস্পতিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্যের শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।
তিনি বলেন স্বাধীনতার পর দেশে ২৯ টি শ্রম আইন আনা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, শিল্প পরিকাঠামোর উপর নির্ভর করে সরকার চারটি শ্রমকোড নিয়ে এসেছে। যা বর্তমানে সময় উপযোগী। সরকার গুরুত্ব দিয়েছে সমকাজে সম মজুরি। এতে করে শ্রমিকদের সুবিধা হবে। বিগত দিনে বিভিন্ন রাজ্যে রাতের বেলা মহিলারা কাজ করতে চাইলে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বর্তমানে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে গোটা দেশে মহিলাদের জন্য পুরুষদের মতই কাজের ক্ষেত্রে অধিকার দেওয়া হয়েছে। মহিলারা চাইলে পুরুষদের মত সব ধরনের কাজে রাতের বেলাও অংশগ্রহণ করতে পারবে। একই সঙ্গে নয়া শ্রমকোডে মহিলাদের ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত বেতন সহ ছুটি প্রদান করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মহিলার শ্রমিকদের সাড়ে তিন হাজার টাকা মেডিকেল এলাউন্স দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে নয়া শ্রম কোডে। একই সাথে নয়া আইনে প্রতিদিন শ্রমিকদের ৮ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করানো যাবে।
পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজের মধ্যে সেই শ্রমিক যদি ভাবেন সপ্তাহে ১২ ঘন্টা করে ৪ দিন কোন সংস্থায় কাজ করে বাকি তিন দিন সে ছুটি কাটাবে বা অন্য কোন সংস্থায় কাজ করবে তাহলে সেটাও সে পারবে। ওভার টাইম অর্থাৎ অতিরিক্ত কাজ করানো হলে শ্রমিকদের মজুরি অতিরিক্ত দিতে হবে বলে নয়া শ্রমকোডে রয়েছে। একই সাথে এখন থেকে প্রতি শ্রমিককে চাকরিতে নিয়োগ পত্র প্রদান করা, বছরে একবার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, নিরাপত্তা প্রদান করা, মহিলা শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য রাতের বেলা সিসি ক্যামেরা এবং পরিবহনের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। নয়া কোডে আউটসোর্সিং কর্মীদের জন্য সঠিক সময়ে বেতন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এই চারটি কোডের মাধ্যমে যে সমস্ত সুবিধা রয়েছে সেই সুবিধা গুলি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী টিংকু রায়। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস।

