স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৪ ডিসেম্বর : নিম্নমানের খাবার এবং টিসি না দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বৃহস্পতিবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দিদিমণিকে তালা দিয়ে রাখল গ্রামের মহিলারা। ঘটনা মোহনপুর গজারিয়া গ্রামের ডিএম কলোনী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। দিদিমণির নাম সিকতা পাল। বিভিন্ন সময় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে এসে গর্ভবতী মা এবং শিশুরা দুর্ব্যবহারের শিকার হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন এদিন। গত মঙ্গলবার এক অভিভাবক অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে গিয়ে নিজের মেয়ের জন্য টিসি চেয়েছিলেন। তখন সে মহিলাকে ফিরিয়ে দেন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দিদিমণি।
বুধবার সেই মহিলাকে টিসি না দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে গেলে একইভাবে ফিরিয়ে দিতে চান দিদিমণি। তখনই উত্তেজিত হয়ে উঠে অন্যান্য অভিভাবকেরা। তারা দাবি করেন সবসময়ই দিদিমণি তাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করেন। নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয় এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে। বিভিন্ন সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে শিশুদের সঙ্গেও দিদিমণি দুর্ব্যবহার করেন। অবিলম্বে দিদিমণিকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করেন অভিভাবকরা। তারা বলেন এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থাকা না থাকা সমান একমাত্র এই দিদিমনির কারণে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা নীলিমা সূত্রধর একইভাবে অভিযোগ তুলেছেন দিদিমনির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন দিদিমণি সঠিক সময় মত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে আসেন না। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে এসে তিনি শিশুদের পাঠ না দিয়ে আশেপাশের বাড়ি-ঘরে ঘুরে বেড়ায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে একজন শিশু আসলে তার জন্য আবার রান্না করতে দেয় না।
এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সিডিপিও এবং সুপারভাইজার অবগত আছেন। ২০০৫ সালে তিনি এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে নিয়োগ হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে কর্মরত থেকে এ ধরনের অভাব্য আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেন তিনি। তিনিও দাবি করেন প্রয়োজনে উনাকে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে অন্যথায় বদলি করে দেওয়া হোক। এদিকে সাংবাদিক দেখে তিনবার নমস্কার দিলেন তালাবন্দি দিদিমণি! দিদিমণিকে বারবারই জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল উনার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ কতটা সত্য? তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরবর্তী সময় অভিযোগের অস্বীকার করেন।

