Thursday, April 18, 2024
বাড়িরাজ্যভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ভোট কর্মীরা

ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ভোট কর্মীরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুন : ২৩ জুন রাজ্যের চাকরি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। বুধবার ইভিএম মেশিন নিয়ে উমাকান্ত স্কুল থেকে ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ভোট কর্মীরা। এদিন ৬ আগরতলা ও ৮ টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটের জন্য ভোট কর্মীরা নিজ নিজ দায়িত্ব পাওয়া ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন মাইক্রো অবজারভার, ভিডিও গ্রাফার

। সবগুলি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ১০০ শতাংশ ওয়েব কাস্টিং এবং ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকবে ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রের বাইরে যারা লাইনে ভোট দিতে দাঁড়াবে তাদের পরিচয় পত্র দেখার জন্যও লোক থাকবে। যদি এর মধ্যে কেউ বহিরাগত থাকে তাহলে সাথে সাথে সেই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি পুলিশ স্টেশনে এই ব্যবস্থাপনা থাকবে বলে জানান বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং

অফিসার অসীম সাহা। বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রে পুলিং স্টেশন ৫৬ টি এবং লোকেশন ২২ টি। এবং আগরতলা কেন্দ্রে পুলিং স্টেশন ৫৫ টি এবং লোকেশন ২৬ টি। প্রত্যেকটি পুলিশ স্টেশনে একজন করে মাইক্রো অবজারভার থাকবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন অন্যান্যবার থেকে এবছর শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন করতে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে এবং বাইরে সুরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্যবার ভোটকেন্দ্রে ভেতরে সুরক্ষিত থাকলে বাইরে সুরক্ষিত থাকত না। অর্থাৎ ওয়েব কাস্টিং থাকলেও বাইরের ভিডিও ক্যামেরা করার ব্যবস্থা থাকত না। এবছর ভোটকেন্দ্রে ভেতরে-বাইরে সুরক্ষার স্বার্থে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী থাকবে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার।   

এদিকে আগরতলায় কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার শৈলেশ কুমার যাদব জানান, ভোট কেন্দ্রগুলিতে ভোট সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ জওয়ানরা। সিআরপিএফ জওয়ানদের সেখানে পিকেট লাগানো হয়েছে। ২৪ ঘন্টা সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ না উঠে। এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো যাতে মানুষ ভয়মুক্ত হয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে। আর কারুর যদি কোন রকম অভিযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের গোচরে নিতে পারবে। পাশাপাশি ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে বলে জানান শৈলেশ কুমার যাদব। তিনি আরো জানান, দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের দুটি আদর্শ পুলিং স্টেশন এবং দুটি মহিলা পরিচালিত পোলিং স্টেশন করা হয়েছে। ৭ টি পোলিং স্টেশন গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিটারবন, মোল্লাপাড়া, দাসপাড়া, কাঠালতলী সহ অভয়নগর ও ইন্দ্রনগর এলাকার কিছু পোলিং স্টেশন। সেসব পুলিং স্টেশনে মোট ৮ জন করে সিআরপিএফ জওয়ান দায়িত্বে থাকবেন। বাকি ৪৮ টি পুলিং স্টেশনে ৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিয়োজিত থাকবেন। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে যে ওয়েব কাস্টিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে তার জন্য একজন পুলিশ অফিসার দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি বি এস এন এল -এর একজন অপারেটর থাকবেন বলে জানান তিনি। ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ২২ টি হোটেলে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয়েছে। যে বহিরাগতরা হোটেলে ছিল, তাদের হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়ে গেছে। এবং সেসব হোটেলে প্রতিনিয়ত নজর রাখা হচ্ছে। পুনরায় অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে বহু অভিযোগ এসেছে।    

ভোট যাতে সম্পন্ন অবাধ শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। এবং গোটা আগরতলার শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে নেওয়া হয়েছে। দুটি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য