স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ জুন : দেশের ফাউন্ডেশন হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছরেও ফাউন্ডেশন শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আজ দেশ একটা শক্তিশালী ফাউন্ডেশন আগামী প্রজন্মের জন্য তৈরি করতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ভারতীয় জনতা পার্টি সদর শহর জেলা আয়োজিত প্রবুদ্ধ জন মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সীমা সুরক্ষা, আত্ম সামাজিক দিক এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশ আজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। ভারতবর্ষকে কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারলে আগামী দিন সমস্যায় পরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কাজের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছেন। আগে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত থাকতো না। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত। দেশের অর্থব্যবস্থাকে মজবুত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আধুনিক প্রযুক্তিকে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তার রাস্তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি যেকোনো বিষয়ে দায়িত্বশীল এবং সচেতন থাকে। মুখ্যমন্ত্রী আর বলেন, ২০১৪ সালের আগে বিশ্বের মধ্যে ভারত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একাদশ স্থানে ছিল। সেই জায়গা থেকে বর্তমানে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারত। আগামী ২০৪৭ সালে ভারত বর্ষ বিশ্বের মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে কোথায় থাকবে সেটা কেউ বলতে পারছে না। তবে সেদিন সকলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করবে দেশবাসী। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে আরো বলেন, প্রায় ১৩ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটকে তিনি একটা মডেল রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই ১৩ বছর গুজরাটকে একটা পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর একটার পর একটা বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন। ভারতবর্ষের প্রতিটি নাগরিক তা দেখতে পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১১ বছরে সমগ্র বিশ্বের মানুষ বুঝে গেছে মোদি হেতো মুমকিন হে। নরেন্দ্র মোদির ন্যায় প্রধানমন্ত্রী আগে কখনো দেখা যায়নি। নরেন্দ্র মোদী যা বলেন তাই করেন।
তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রীর এই ১১ বছর অমৃতকাল। আগে মানুষের মৌলিক সমস্যা গুলি সমাধানের বিষয়ে মুখে বলা হত। কিন্তু বর্তমানে তা কাজের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। সমাজের অন্তিম ব্যক্তির আর্থসামাজিক উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিকাশের এক নতুন যাত্রা দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। উন্নয়নের নতুন রাস্তা সকলের সামনে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। সময় কম কাজ বেশি। তাই সময়ের আগে দৌড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকার গুলি কাজ করে যাচ্ছে।আয়োজিত অনুষ্ঠানের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্ব।
