স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল: দেড় বছর আগে তেলিয়ামুড়ার বাম নেতা হিসাবে পরিচিত তপন পালের ছেলে তন্ময় পালের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় আগরতলার দীপান্বিতা সরকার পালের। বিয়ের পর প্রথম দিকে সংসার ঠিকঠাক চলে। তাদের বর্তমানে ১০ মাসের এক সন্তান রয়েছে। বিগত ৭ মাস আগে থেকে তাদের সংসারে শুরু হয় অশান্তি। দীপান্বিতা সরকার পালের বাবা জানান ৭ মাস পূর্বে তিনি জানতে পারেন মেয়ে দীপান্বিতা সরকার পালের স্বামী তন্ময় পাল একই এলাকার অপর এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত।
এই নিয়ে তাদের সংস্কারে অশান্তি হতো। তন্ময়ের মা-বাবা তন্ময়কে মদত দিয়ে যেত। ১৫ দিন পূর্বে তন্ময়ের স্ত্রী দীপান্বিতা সরকার পাল আগরতলা বাপের বাড়িতে চলে আসে। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে তন্ময় শ্বশুর বাড়িতে উপস্থিত হয়। রাতের বেলায় তন্ময়ের ছেলেকে ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তার ছেলেকে বহিঃরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তারপর শনিবার সকালে তন্ময় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। দীপান্বিতা সরকার পাল ছেলের ভবিষ্যৎ-এর কথা চিন্তা করে স্বামীর সাথে স্বামীর বাড়িতে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় দীপান্বিতা সরকার পাল বাপের বাড়িতে মোবাইলে কল করে মাকে জানায় স্বামী তন্ময় পাল, ননদ মন্টি পাল, শশুর তপন পাল পরিকল্পনা করেছে তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করার। তার থেকে ঠিক ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর দীপান্বিতা সরকার পালের শ্বশুর দীপান্বিতা সরকার পালের পিতাকে ফোন করে জানায় দীপান্বিতা সরকার পাল নিজ ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।
সাথে সাথে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি অভিযোগ করেন ওনার মেয়েকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এইদিকে দীপান্বিতা সরকার পালের মা তেলিয়ামুড়া থানার সামনে কান্না করতে করতে চিৎকার করে অভিযোগ করেন ওনার মেয়েকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। যথারীতি তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। রবিবার সকালে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। এইদিকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতার ময়না তদন্ত করা হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনদের হাতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।