স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মে : ২০২০ সালে ৬ মার্চ জিবি হাসপাতালে ভাস্কর দেবরায় নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছিল। পরবর্তী সময় আইনজীবী পুলক সাহা উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করে দাবি জানান ভাস্কর দেবরায় মাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, জিবি হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করতে হবে এবং ভাস্করের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর পেছনে যেসব চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরবর্তী সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সংখ্যা ডেথ অডিট টিম গঠন করে। এর দায়িত্বে ছিলেন ডাঃ শংকর দেবরায়।
রিপোর্টে প্রমাণ হয় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে আইনজীবির। ৫ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। ডেথ অডিট টিমের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রায় দেয়, রাজ্য সরকারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে, তারপরেও আরো ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে জানান আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন। তবে উচ্চ আদালতের তদন্তের সময় স্বাস্থ্য দপ্তরে উপসচিব মিথ্যা তথ্য জমা করে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছিলেন। সেই উপসচিবের বিরুদ্ধে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে।
ট্রমা সেন্টারের পরিষেবা উন্নত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়ে বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বহু দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকে। আইনি বেড়াজালের জন্য সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষটিকে হাসপাতলে নিয়ে আসে না পথচারীরা। তাই বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সেইভ লাইফ ফাউন্ডেশন সম্পর্কে যাতে মানুষকে ভালোভাবে অবগত করতে হবে। কারণ যারা এধরনের মানবতার কাজে এগিয়ে আসে তাদের যাতে পুলিশ দ্বারা দুর্ভোগ পোহাতে না হয়। এর জন্য রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে উচ্চ আদালতের নির্দেশ দিয়েছে যাতে সেভ লাইফ ফাউন্ডেশন বিষয়ে মানুষকে ভালোভাবে অবগত করা হয়। যাতে মানুষ দুর্ঘটনায় পড়লে পথচারীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান। তিনি আরো বলেন তৎকালীন সময়ে ট্রমা সেন্টারের যে হাল ছিল তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯ টার পর থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত কোন বিশেষজ্ঞ থাকেন না ট্রমা সেন্টারে। তাই এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে পরিষেবা উন্নত করার জন্য উচ্চ আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।