স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ জুলাই : দেশজুড়ে এন টি এ বাতিলের দাবিতে এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন ক্রমশ তেজী করে তুলেছে ভারতীয় ছাত্র সংগঠন। এরই অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে এন টি এ বাতিল করা, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ, ত্রিপুরায় স্কুল একত্রীকরণ বন্ধ করা, ব্যর্থ বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প বাতিল করা সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করা হয়। রাজধানীর ছাত্র যুবক ভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হুলুস্থুল করে শিক্ষা ভবনে গিয়ে প্রবেশ করে।
তারপর সেখানে আন্দোলন সংঘটিত করে পুনরায় রাস্তায় এসে দেশের শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার কুশ পুত্তলিকা পুড়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। উপস্থিত এস এফ আই রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব বলেন, দেশ এবং কোন রাজ্যকে যদি ধ্বংস করতে হয় তাহলে শক্তিশালী কোন বোমার প্রয়োজন হয় না, সে দেশ এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে বহু বছরের জন্য দেশকে পঙ্গু করা যায়। দেশের বর্তমান সরকার নীট এবং নেট কেলেঙ্কারি সহ সবদিক দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। এতে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নতুন করে এক অভূত পর্ব সংকট নেমে আসছে। একইভাবে রাজ্যের বর্তমান সরকারও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। ৫১১ টি স্কুলকে বন্ধ করে দিতে চাইছে। অপরদিকে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি রাজ্যের স্কুল গুলির মধ্যে চরম শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীরা যখন রাস্তায় নামছে তখন শাসকদলের গুন্ডারা এই ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আক্রমণ সংঘটিত করছে। তাই এই সংকটের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এসএফআই আন্দোলনে নেমেছে।
এবং সর্বভারতীয় যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে তা অক্ষর অক্ষরে পালন করছে এসএফআই বলে জানান তিনি। কিন্তু একটা সময় পর ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় যুব মোর্চার নেতা ভিকি প্রসাদ বাইক থেকে নেমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে আন্দোলনরত কর্মীদের টিপ্পনী দেয়। তখন ভিকি প্রসাদকে ধাওয়া করে আন্দোলনরত কর্মীরা। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পায় ভিকি প্রসাদ। তবে ভিকি প্রসাদের পেছনে ধাওয়া করেছে আন্দোলনরত কর্মীরা। পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক দেখে পুলিশ আন্দোলনরত বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের আটক করে নিয়ে যায়।
