স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ নভেম্বর : সুশাসন জামানায় – নেশা মুক্ত ত্রিপুরা রাজ্যের মূল স্লোগান! কিন্তু দিকে দিকে দেওয়া হচ্ছে মদের লাইসেন্স। এবং এবার মদের কাউন্টার যাতে খোলা না হয় তার জন্য পথে নামছে মানুষ। উল্লেখ্য, বিলেতি মদের কাউন্টারের জন্য নির্মীয়মাণ ঘরের নির্মান কাজ বন্ধের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ প্রমিলা বাহিনীর। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত বাইখোড়া এগ্রিকালচার অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটি বিলেতি মদের কাউন্টারের জন্য ঘর নির্মান করা হচ্ছে।
এই বিষয়টি জানার পর এলাকাবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পরে। যে জায়গায় মদের কাউন্টার দেওয়া হবে বলা হয়েছে সেই জায়গা থেকে ডিল ছোঁড়া দুরত্বে বাইখোড়ার বৃন্তক শিক্ষানিকেতন অবস্থিত। এছাড়া রয়েছে একটি ঠাকুরের মন্দির। এলাকাবাসিরা এলাকায় বিলেতি মদের কাউন্টার খোলার অনুমতি না দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থও হয়েছে। মহকুমা শাসক এলাকা পরিদর্শনের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত এলাকায় যান নি। এইদিকে বিলেতি মদের কাউন্টারের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে। তাই এলাকার প্রমিলা বাহিনী এইদিন বাইখোরা বাজারে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসে। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাইখোরা থানার পুলিশ। প্রথমে বাইখোরা থানার পুলিশ এক প্রকার হুমকি দিয়ে প্রমিলা বাহিনীকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। কারন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করার সকলের অধিকার আছে। বাইখোরা থানার ওসি হয়তো এইটা ভুলে গিয়েছিলেন। এইদিকে সড়ক অবরোধকারিরা জানান তারা জানতে পেরেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা বিকাশ বৈদ্য, তাপস দত্ত ও মনিন্দ্র বিশ্বাসের মদতে জায়গার মালিক মদের কাউন্টারের জন্য ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এইদিকে এইদিন দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধের ফলে রাস্তার দুই পাশে আটকে পরে বহু যানবাহন। পরবর্তী সময় শান্তিরবাজার মহকুমা শাসকের কার্যালয় থেকে এক ডিসিএম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এবং সড়ক অবরোধকারিদের আশ্বাস দেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারপর সড়ক অবরোধকারীরা সড়ক অবরোধ মুক্ত করে দেন।