স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ অক্টোবর। ঘটা করে শুরু হয়েছে মেলাঘরের রাজঘাটে ঐতিহ্যবাহী নীরমহল জল উৎসব।। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ জমাতিয়া এবং বিধায়ক কিশোর বর্মনের উপস্থিতিতে মেলাঘরের রাজঘাটে এই উৎসব শুরু হয় ।। পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন,, জি টুয়েন্টি অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ব নেতাদের একটা ভালো সংখ্যা নীরমহলে এসেছিলেন। নীরমহল এবং রুদ্রসাগরকে দেখে উনারা মুগ্ধ হয়ে গেছেন।। নীরমহল এখন বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে স্হান করে নিয়েছে ।
গোটা ভারতবর্ষ এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সম্পদ হলো নীরমহল ।। স্বদেশ দর্শন এক এ-উন্নীত করার জন্য নীরমহলে ছয় কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।।আর জী ২০কে কেন্দ্রে করে চাকচিক্য আনার জন্য দশ কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে।। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নীরমহলে পুনরায় লাইট এন্ড সাউন্ড শো শুরু করা হবে ।। গোটা ত্রিপুরা রাজ্যকে খুব কম সময়ের মধ্যেই পর্যটন কেন্দ্র পরিক্রমায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে চেষ্টা করা হচ্ছে।। পর্যটক টেনে আনার জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আনন্দের সাথেই বলেন ,, আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে ত্রিপুরাতে আসছেন দেশের বিখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড় সৌরভ গাঙ্গুলী।। যিনি ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন বিভাগের ট্যুরিজম ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন ,,পর্যটন দপ্তরের সাথে।। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন,, সরকার এবং প্রশাসনের দায়িত্ব যেকোন স্থানে পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া ।। স্হানীয়দের দায়িত্ব এই পরিকাটামোকে রক্ষা করে নিজেদের চেষ্টায় রক্ষা করে রাখা।। মন্ত্রী আক্ষেপের সাথে বলেন,, কিছুদিন আগে ভারত বিখ্যাত স্বনামধন্য শ্রীমতি সুধা মূর্তি নীরমহলে এসেছিলেন।। নীরমহল ও রুদ্রসাগর দেখার পরে একটাই মন্তব্য করেছিলেন,, কিছু ঠিক আছে কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অনেক অভাব রয়েছে।। নীরমহলের ভিতরে এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অর্থাৎ যে রাজঘাটের চারিদিকে।। সুতরাং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমস্ত ব্যবস্থা করে যেতে হবে।। এক প্রকার আনন্দের সাথেই মন্ত্রী বলেন,, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাহায্যে দক্ষিণ ত্রিপুরার ছবি মোরাতে ৫৭ কোটি টাকা উত্তরের ঊনকোটিতে ১৩০ কোটি টাকা এ বং আগরতলার পর্যটন কেন্দ্রে ৭০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে উন্নয়নের স্বার্থে ।। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী পরামর্শ দিয়ে বলেন,, রুদ্র সাগরের জলস্তর অনাহুতক বৃদ্ধি করার কোন প্রয়োজন নেই।। এতে রুদ্রসাগরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের যে মানুষদের ক্ষতিও হতে পারে।। অর্থাৎ কৃষি জমির অবস্থান এবং ব্যবস্থার কথা চিন্তা করে এ কথা বলেন।। সুতরাং সবকা সাথ ,, সবটা বিকাশের কথা চিন্তা করেই এই কথাটি বলেছেন বলে মনে করা হয়।। রুদ্র সাগরকে আরো সাজিয়ে তোলার জন্য খুব তাড়াতাড়ি মৎস্য,, সমবায় এবং পর্যটন দপ্তরের উচ্চস্তরিয় ও কর্তৃপক্ষের সমবেত মিলনের মধ্য দিয়ে বিশেষ আলোচনা করা হবে ।।