Saturday, January 18, 2025
বাড়িরাজ্যলিফট বিকল হয়ে আটকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী সহ একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

লিফট বিকল হয়ে আটকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী সহ একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ অক্টোবর : রোগীদের সাথে ঘটত আজব ঘটনা। আটকে পড়তো রোগীরা লিফটে। আর এটা নিয়ে বহুবার খবর প্রকাশ হওয়ার পরেও গুরুত্ব দেয়নি জিবি হাসপাতালের এমএস থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এবার মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গিয়ে যখন ভিআইপি -রা লিফটে আটকে পড়ল তখন শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। হাসির খোরাক হয়েছে হাসপাতালে এম এস থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। কারণ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানের জন্য জিবি হাসপাতালে গিয়ে বহু ভিআইপি জিবি হাসপাতালের লিফট আটকে পড়ে। আচমকা লিফট বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে লিফটে আটকে তারা।

 আগে বহুবার রোগীদের সাথে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তারপরও কোন হেলদোল নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। প্রতিবার এক অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়ে দায় এড়িয়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার ফের জিবি হাসপাতালে আচমকা বিকল হয়ে যায় লিফট। তবে এইদিন রোগী কিংবা তাদের পরিবার পরিজন নয়, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী সহ হাসপাতালের একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিকল লিফটে আটকে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লিফটে আটকে পড়েছেন বলে কথা। লজ্জায় মুখ ঢাকার কোন উপায় নেই। তাই শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী ও টেকনিশিয়ানের প্রচেষ্টায় লিফট থেকে বের করে আনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষী সহ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। তবে এইবারও অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়ে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন জিবি হাসপাতালের আধিকারিকরা। হাসপাতালের এক আধিকারিক জানান টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে আচমকা লিফট আটকে পড়েছে। কি সমস্যা হয়েছে তা টেকনিশিয়ানরা বলতে পারবে।

 এই নিয়ে একাধিকবার জিবি হাসপাতালের লিফট আচমকা বিকল হয়েছে। প্রতি বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অদ্ভুত বক্তব্য উপস্থাপন করে দায় এড়িয়ে যান। তবে এইদিন অল্পের জন্য বেঁচে যান মুখ্যমন্ত্রী। কারন এইদিন মুখ্যমন্ত্রী জিবি হাসপাতালে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীও এইদিন লিফটে আটকে পড়তে পাড়তেন। যদিও তা ঘটে নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী যদি লিফটে আটকে পড়তেন তাহলে দৌড়ঝাঁপ কিছুটা বেশি হত। কারন মুখ্যমন্ত্রী বলে কথা তদন্তের বিষয় সামনে চলে আসত। আর তখন জিবি হাসপাতালের লিফটের দুরারোগ্য ব্যাধি সারানোর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্থাৎ অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানদের ডাক পড়ত। সে যাই হোক, প্রশ্ন হচ্ছে কিছু দিন পর পর একই ঘটনা ঘটনার পরও কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙছে না ? এইবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কুম্ভ নিদ্রা ভঙ্গ হবে তো? উত্তরটা হয়তো সময়ই দেবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য