স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ আগস্ট : ত্রিপুরাকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হাব তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ত্রিপুরা গড়ে তোলার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করছে। তাদের সুযোগ দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে ভাবছে সরকার। সোমবার অরবিন্দের সংঘের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ এবং ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার জন্য বর্তমান সরকার নেশার বিরুদ্ধে আপোষ হীন নীতি নিয়ে কাজ করছে। যারা নেশায় আসক্ত তাদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি জেলায় নেশা মুক্তি কেন্দ্র খোলার জন্য এইবারের বাজেটে অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান বর্তমানে জিবি হাসপাতালে ৭ টি বিভাগে সুপার স্পেসালিটি চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়েছে। ফলে বহিঃরাজ্যে রোগী রেফার হার অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে মেডিক্যাল পড়ার জন্য ২২৫ টি আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যে চিকিৎসকের সংখ্যা অনেকটা কম। ত্রিপুরা রাজ্যে মেডিক্যাল হাব করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বহিঃরাজ্য থেকে বিনিয়োগকারিরা আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। রাজ্যে চিকিৎসকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বিক ভাবে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবসা উন্নত হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী ক্লাব প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখে বলেন এলাকার উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ক্লাবের উপর নির্ভর করে। ক্লাবগুলির নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। নাহলে মানুষের সমর্থন মিলবে না। কারণ মানুষ বহু আশা নিয়ে ক্লাবের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য যায়।
তাই সাধারণভাবে সমস্যার সমাধান করলে আর মানুষকে থানায় যেতে হয় না। যারা নেশা সেবনের সাথে জড়িত তাদের নেশা থেকে নির্মল করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন রক্তদান শিবির প্রসঙ্গে বলেন, রক্তদান মহৎ দান। এখনো অনেকে রক্তদান নিয়ে আতঙ্কে আছে। তাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। রক্তদানে এগিয়ে আসতে হবে। এবং রক্তদানের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরার মানুষ মানুষের জন্য এটা প্রমাণিত করেছে রক্তদান শিবিরে। রাজ্যবাসী কাছে আহ্বান জানানোর পর মানুষের এগিয়ে আসার উৎসাহ দেখে এটাই প্রমাণিত। এবং আগামী দিনেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। রক্তদান শিবিরে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়িকা মিনারানী সরকার সহ অন্যন্যরা।