স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ আগস্ট: দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঘোষণা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন নির্ঘণ্ট। ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে বিজেপি। উপত্যকা দখলে পুরনো ঘোড়া রাম মাধবে ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির। এবার কাজ শুরু করে দিল কংগ্রেসও। নয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের একা লড়া উচিত, না কি ‘গুপকার’ সঙ্গীদের সঙ্গে জোট বেঁধে, কর্মী-সমর্থকদের থেকে সরাসরি এর উত্তর খুঁজতে দু’দিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীর পৌঁছলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী।
বুধবার তাঁদের কোনও ঘোষিত কর্মসূচি না থাকলেও সূত্রের খবর, রাতে তাঁরা ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কংগ্রেসের দুই অন্যতম শীর্ষনেতার লক্ষ্য হবে স্থানীয় ভেদাভেদ মুছিয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপিকে একসঙ্গে লড়াই করাতে রাজি করানো। যা না হওয়ায় লোকসভা নির্বাচনে বারামুল্লা কেন্দ্র থেকে জিতে গিয়েছেন রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে তিহারে বন্দি আবদুল রশিদ। বৃহস্পতিবার সকালে উপত্যকার ১০টি জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন খাড়গে-রাহুল। জোট সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য ও নিজেদের জেলায় কংগ্রেস ও অন্যান্য দলের সাংগঠনিক শক্তি কী অবস্থায় রয়েছে, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবেন তাঁরা। দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে উড়ে যাবেন জম্মু। সেখানেও হবে একই ধরনের কর্মসূচি। আরও খবর, সাংবাদিক সম্মেলনে এনসি, পিডিপি ও স্থানীয় ছোট ছোট দলের বেশ কয়েকজন নেতা কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। গুলাম নবি আজাদের দলে যোগ দেওয়া বেশ কয়েকজনের ‘ঘর ওয়াপসি’ করার ইঙ্গিতও রয়েছে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে তিন দফায় নির্বাচন শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর।
এরই মাঝে সিকিমে সাম্প্রতিক বন্যার জন্য ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের তিস্তা স্টেজ ৫ বাঁধ প্রকল্পকে দায়ী করলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। গত বছর অক্টোবরে সিকিম ও কালিম্পংয়ে হয়ে যাওয়া হিমবাহী হ্রদ বিস্ফোরণ বন্যা, সিকিমের সাম্প্রতিক ধস ও বন্যার কারণ হিসাবে এই প্রকল্পকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর মতে, পর্যাপ্ত পরীক্ষা, অনুসন্ধান না করে প্রকৃতির সঙ্গে খামখেয়ালি করার শাস্তি পেতে হচ্ছে।