Friday, July 26, 2024
বাড়িজাতীয়তামিলনাড়ুতে বিজেপি-টিএমসি জোট ?

তামিলনাড়ুতে বিজেপি-টিএমসি জোট ?

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৬ ফেব্রুয়ারি : এবারের লোকসভায় বিজেপির লক্ষ্য ৪০০ পার। সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে অতিরিক্ত আসন পাওয়া জরুরি। আর তাই সে রাজ্যগুলিতে শক্তি বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। এবার তামিলনাড়ুতে বিজেপির হাত ধরল টিএমসি অর্থাৎ তামিল মানিলা কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতা জি কে ভাসান জানিয়ে দিয়েছেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাবেন তিনি।

ভাসান জানিয়েছেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র শরিক হিসেবেই লোকসভা ভোটে লড়াই করবে তামিল মানিলা কংগ্রেস। উল্লেখ্য়, গত বছর সেপ্টেম্বরেই তামিলভূমে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে পুরনো সঙ্গী এআইডিএমকে। ফলে সেখানে এতদিন ‘একলা চলো’ নীতিতে হাঁটছিল গেরুয়া শিবির। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হাত ধরল টিএমসি। তারা জানিয়েছে, দলের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল জাতীয় স্তরে রাজনীতির লক্ষ্য় নিয়ে। বিজেপির হাত ধরার ফলে তাঁদের লক্ষ্যপূরণের পাশাপাশি তামিলনাড়ুরও উন্নতি হবে। তবে লোকসভার আগে দক্ষিণের এই রাজ্যে নয়া জোট রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


কর্নাটক ছাড়া বিজেপির জন্য কোনওকালেই দক্ষিণের দ্বার অবারিত ছিল না। গেরুয়া শিবির তথা আরএসএসের হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান সংকল্প কখনওই মেনে নেয়নি দ্রাবিড়ীয়রা। সমুদ্র তীরবর্তী কোঙ্কন অঞ্চলে, বিশেষ করে সারস্বত ব্রাহ্মণদের নিয়ে আরএসএসের ‘গবেষণাগার’ দশকের পর দশক নানা সমীকরণ তৈরি করেছে। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে জনসংঘ এবং উত্তরসূরি বিজেপি সেই অর্থে লাভবান হয়নি। চব্বিশের নির্বাচনে ‘৪০০ পার’ করতে হলে দাক্ষিণাত্যে মন পাওয়া জরুরি। রাজনীতিক কারবারিদের মধ্য়ে উত্তর ভারত এবং গোবলয়ে বিজেপির ভোটের ঘড়া কানায়-কানায় পূর্ণ। নতুন করে আর কিছু পাওয়া সম্ভব নয়। বরং কৃষক বিদ্রোহ থেকে শুরু করে সংরক্ষণ আন্দোলনের জেরে আসন সংখ্যা কিছুটা কমলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই শূন্যস্থান পূরণে এবং নতুন চারণভূমির সন্ধানে পদ্মশিবিরের চোখ এখন বিন্ধ্য পর্বতমালার ওপাড়ে। সেতু সমুদ্রম থেকে তামিলনাড়ুর জন্য় ২০ হাজার কোটির প্রকল্প, প্রমাণ করে দিচ্ছে দক্ষিণের জন্য় মোদি এবার ‘কল্পতরু’। শুধু পাওনার ঝুলি নয়, রাজনৈতিকভাবেও দক্ষিণ ‘দখলে’র ছক কষছে আরএসএস তথা বিজেপি। তামিলভূমে বিজেপি-টিএমসি জোট সেই লক্ষ্য়পূরণের গুরুত্বপূর্ণ সোপান হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য