Saturday, December 21, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদনাসরুল্লাহর সম্ভাব্য দুই উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর

নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য দুই উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ অক্টোবর: হিজবুল্লাহর প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য দুই উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই দাবি করেন।গতকাল মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে তাঁর একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। এতে তিনি বলেন, তাঁরা হিজবুল্লাহর সক্ষমতাকে আরও কমিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা হিজবুল্লাহর হাজারো সদস্যকে হত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে নাসরুল্লাহ আছেন। আছেন তাঁর উত্তরসূরি। এমনকি আছেন এই উত্তরসূরিরও উত্তরসূরি। অনেক বছর ধরে হিজবুল্লাহ যতটা শক্তিশালী ছিল, আজ তার থেকে দুর্বল।নেতানিয়াহু অবশ্য নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া তিনি উত্তরসূরির উত্তরসূরি—এই কথার মাধ্যমে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হিজবুল্লাহর নেতা হাশেম সাফিউদ্দিন খুব সম্ভবত ‘নিহত’ হয়েছেন।গত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নাসরুল্লাহ। সাফিউদ্দিনকে তাঁর (নাসরুল্লাহর) সম্ভাব্য উত্তরসূরি বিবেচনা করা হচ্ছিল।পরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার সময় তাঁরা জানতেন, সাফিউদ্দিন হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে অবস্থান করছেন। সাফিউদ্দিনের ‘অবস্থা’ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যখন তাঁরা জানবেন, তখন তাঁরা তাঁর বিষয়ে সবাইকে জানিয়ে দেবেন।গত সপ্তাহের ওই বিমান হামলার পর থেকে সাফিউদ্দিনকে আর দেখা যায়নি। তাঁকে কথা বলতে শোনা যায়নি।

নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি সাফিউদ্দিন যদি নিহত হয়ে থাকেন, তাহলে তা হবে ইরানপন্থী হিজবুল্লাহর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। বিষয়টি তেহরানের জন্যও বড় চাপ তৈরি করবে।লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থলাভিযানের পরিধি দ্রুত বাড়াচ্ছে ইসরায়েল।গতকাল ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ভূগর্ভস্থ অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ছয়জন সেক্টর কমান্ডার ও আঞ্চলিক কর্মকর্তা রয়েছেন।গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলও নিয়মিত পাল্টা জবাব দিচ্ছিল। তবে তারা গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা শুরু করে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য