স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৭ জুন: ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন গত শনিবারের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো একটি অডিও বার্তায় কথা বলেছেন।তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পতন ঘটাতে তার সেনারা মস্কো অভিমুখে যাত্রা করেনি বরং তারা ওয়াগনারের ধ্বংস এড়াতে চেয়েছিল।বিবিসি জানায়, ইউক্রেইন যুদ্ধে ভুল করার জন্য তিনি যে নেতাদের দোষারোপ করেছিলেন তাদেরকে জবাবদিহি করাতেই তার সেনারা মস্কোয় যাত্রা করেন বলে জানিয়েছেন প্রিগোজিন।ন্যায়বিচারের জন্য ওয়াগনারের এই পদযাত্রার লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উৎখাত করা ছিলনা, বলেন তিনি।
রাশিয়া বলেছে, ওয়াগনারের বিদ্রোহে পশ্চিমারা জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র এ বিদ্রোহে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, এটি “রাশিয়ার ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীন কোন্দল।” ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি বলেছেন, প্রিগোজিনের বার্তা দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইউক্রেইন যুদ্ধের কোনও বৈধতা নেই। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, ওয়াগনারের বিদ্রোহ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দূর্বলতাকেই সামনে এনেছে।২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখলের সময় তাতে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল ওয়াগনার সেনাদল। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর তাতে এই বাহিনীকে কাজে লাগান পুতিন। ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত নগরীতে ওয়াগনার ইউক্রেইনের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল।
গত শনিবার হঠাৎ করেই ওয়াগনারের সেনারা রাশিয়ায় ঢুকে একাধিক শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্ব উৎখাতের হুমকি দেন। ওয়াগনার সেনাদের একটি অংশ রাশিয়ার মস্কোর দিকে যাত্রা করে।পরিস্থিতি এমন জায়গায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ঠেলে দেয়, যে তিনি তার একসময়ের মিত্র প্রিগোজিনকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ দায়েও অভিযুক্ত করেন, এই সশস্ত্র বিদ্রোহকে অভিহিত করেন ‘রাশিয়ার পিঠে ছুরিকাঘাত’ হিসেবে।শেষ পর্যন্ত অবশ্য ঘটনা বেশি দূর আগায়নি। কয়েকঘণ্টার উত্তেজনার পর বেলারুশের প্রেসিডেণ্টের মধ্যস্থতায় তা প্রশমিত হয়। শনিবার দিনের শেষভাগে ওয়াগনার প্রধান বিদ্রোহে ক্ষ্যান্ত দেন এবং সেনাদের ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।