স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,৩০ মে: শেনঝোউ–১৬ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে চীন। এ মহাকাশযানে চড়ে চীনের তিন নভোচারী তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে গেছেন। তাঁরা সেখানে পাঁচ মাস অবস্থান করবেন।এই অভিযানে প্রথমবারের মতো মহাকাশে গেছেন এক বেসামরিক চীনা নাগরিক। এর মধ্য দিয়ে চীনের মহাকাশ কর্মসূচির উন্নয়ন কার্যক্রম নতুন স্তরে প্রবেশ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।চীনের উত্তরাঞ্চলের গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে মহাকাশযানটি যাত্রা করে।এর ১৯ মিনিট পর চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএসএ) জানায়, উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। সাত ঘণ্টার কম সময় পর এই তিন নভোচারীর ভূমি থেকে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের তিয়ানহে কোর মডিউলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এই অভিযানের কমান্ডার জিং হেইপেং বলেন, এর মধ্য দিয়ে চীনের মহাকাশ অভিযান নতুন ধাপে উন্নীত হয়েছে। এবার নিয়ে চতুর্থবার মহাকাশে গেলেন জিং। চীনা মহাকাশচারীদের মধ্যে এটা রেকর্ড।এ ছাড়া এবারই প্রথম কোনো চীনা বেসামরিক নভোচারী পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে গেলেন। তিনি বেইজিংয়ের বেইহাং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গুই হেইচাও। তাঁর আগে মহাকাশে যাওয়া চীনের বাকি সব নভোচারী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সদস্য।এবারের অভিযানে মহাকাশে যাওয়া আরেক নভোচারী হলেন ঝু ইয়াংঝু। তিনি পেশায় প্রকৌশলী। ঝু এবারই প্রথম মহাকাশে গেলেন।এদিকে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর ‘স্বপ্নের মহাকাশ প্রকল্প’ এগিয়ে নিচ্ছেন। দেশটি এখন চাঁদে ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে। চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির মুখপাত্র লিন জিকিয়াং গতকাল সোমবার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে বেইজিং।