স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১৭ অক্টোবর: যুক্তরাজ্যের সাবেক কনজারভেটিভ চ্যান্সেলর জর্জ ওসবর্ন বলেছেন, লিজ ট্রাস বড়দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারবেন বলে মনে করেন না তিনি।ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল ফোরের অ্যান্ড্রু নীল শো’তে লিজ ট্রাসকে ‘নামমাত্র প্রধানমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেছেন ওসবর্ন। এক টুইটে সেই ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে চ্যানেল ফোর।অনুষ্ঠানটি রোববার সন্ধ্যায় সম্প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ওসবর্নের মতো একই অনুষ্ঠানে সাবেক এক টোরি প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, বর্তমান সংকটে ট্রাস টিকে থাকতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন না।যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি টালমাটাল বাজার পরিস্থিতিতে তীব্র সমালোচনার চাপে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৫ সপ্তাহের মধ্যেই তার কর্তৃত্ব এখন ভেঙে পড়ার মুখে।রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং বাজার পরিস্থিতি সামলে ক্ষমতায় টিকে থাকার মরিয়া চেষ্টায় অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি সরকারের কর ছাড় পরিকল্পনা থেকে এর মধ্যে দুইবার সরে এসেছেন ট্রাস।কিন্তু এটুকু পদক্ষেপই তার প্রধানমন্ত্রীত্ব বাঁচাতে যথেষ্ট হবে কিনা সেটি এখনও প্রশ্নসাপেক্ষ। নিজ দলে এরই মধ্যে ট্রাসের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।সাবেক টোরি (কনজারভেটিভ) মন্ত্রী ক্রিসপিন ব্লান্ট প্রকাশ্যেই ট্রাসের পদত্যাগ দাবি করেছেন। কনজারভেটিভ এমপিদের মধ্যে ব্লান্টই প্রথম এমন দাবি তুললেন।ট্রাস টিকতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে চ্যানেল ফোরের অ্যান্ড্রু নীল শোতে তিনি বলেন, “না, আমি মনে করি সংকট জর্জরিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য খেলা শেষ। পরবর্তী ব্যবস্থা কীভাবে করা যাবে সেটিই এখন প্রশ্ন।”ওদিকে, ট্রাস টিকবেন কিনা সেই একই প্রশ্নে সাবেক কনজারভেটিভ চ্যান্সেলর জর্জ ওসবর্ন বলেন, “সম্ভবত না। এ মুহূর্তে তিনি কেবল নামমাত্র প্রধানমন্ত্রী। এ অবস্থায় যে পরিণতি হতে পারে বলে আমি মনে করি তা হচ্ছে, বড়দিনের আগেই তার পতন হয়ে যাওয়া।”“এ মুহূর্তে তিনি(ট্রাস) ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে লুকিয়ে আছেন,” বলেন তিনি।তবে ওসবর্ন এও বলেছেন, “কোনওকিছুই আগে থেকে ধারণা করা যায় না। ট্রাস হয়ত পুরাপুরি পরিস্থিতি বদলেও দিতে পারেন। সেটিও হওয়া সম্ভব; মিনি-বাজেট প্রশ্নে তিনি হয়ত ইউ-টার্ন নিতে পারেন এবং মন্ত্রিসভায় ঋষি সুনাকের সমর্থকদের নিয়ে এসে রদবদলও ঘটাতে পারেন।”যুক্তরাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক অনেকটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটিয়ে বলেছেন, ট্রাস এখনই ব্যবস্থা নিলে টিকে যেতে পারেন। হ্যানকক এর আগে প্রধানমন্ত্রী ট্রাসকে তার মন্ত্রিসভায় রদবদলের আহ্বান জানিয়েছিলেন।সাবেক চিফ হুইপ অ্যান্ডু মিশেলও বলেছেন, ট্রাস পরিস্থিতি বদলাতে না পারলে তাকে “বিদায় নিতে হবে।”টোরি শিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট হাফন ট্রাসকে পদত্যাগের আহ্বান না জানালেও একথা স্বীকার করেছেন যে, এমপি’রা তার পদত্যাগের ছক কষছে। স্কাই নিউজে তিনি বলেন, “অবশ্যই, যা চলছে তাতে সহকর্মীরা অখুশি।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ‘ট্রাসের পতন হতে পারে বড়দিনের আগেই’
সম্পরকিত প্রবন্ধ