স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২১ অক্টোবর : শান্তিচুক্তির মাঝেই ইজরায়েলে ফের হামলার ষড়যন্ত্র করছে হামাস। এই রিপোর্ট সামনে আসার পর এবার হামাসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সতর্কবার্তা দিয়ে জানালেন, ‘ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে হামাসকে সমূলে বিনাশ করা হবে।’
সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে হামাস প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। যার মাধ্যমে ওরা শুধরে যাবে এবং ভালো আচরণ করবে। কিন্তু তা যদি না হয় সেক্ষেত্রে আমরা ভিতরে ঢুকব এবং প্রয়োজনে ওদের ধ্বংস করে দেব।” শুধু তাই নয় হামাসের সমালোচনা করে ট্রাম্প আরও বলেন, “ওরা বরাবরই অত্যন্ত হিংস্র। কিন্তু এখন ওদের পিছনে ইরানের সমর্থন নেই। ফলে শুধরে যাওয়াই ওদের জন্য মঙ্গলজনক। তা না হলে সমূলে বিনাশ করা হবে হামাসকে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি। তবে রবিবার মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে যেখানে দাবি করা হয়, নতুন করে হামলার ছক কষছে হামাস। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর নতুন করে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। রাফা এলাকায় এই হামলায় শতাধিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও প্যালেস্টাইনের এই সশস্ত্র সংগঠনের জানিয়েছেন, তারা এমন কোনও হামলার পরিকল্পনা করেনি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ডামাডোলের মাঝেই এবার কড়া হুঁশিয়ারি এল আমেরিকার তরফে।
হামাসকে সতর্ক করে ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, “যদি হামাস যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলার করে, তবে আমরা ভিতরে ঢুকে পরিস্থিতি সামাল দেব। খুব দ্রুত এবং আক্রমণাত্মক ভাবেই তা করা হবে।” তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকার সামরিক বাহিনী না পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলনে, “আমি যদি ইজরায়েলকে বলি, তা হলে ওরা দু’মিনিটের মধ্যে ওখানে চলে যাবে। ওদের শুধু বলতে হবে বিষয়টা দেখে নাও। আমি এখনও সেটা বলিনি। হামাসকে শুধু এইটুকু সুযোগ দিতে চাই আমরা।” উল্লেখ্য, গাজায় শান্তি চুক্তি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য সোমবার পশ্চিম এশিয়ায় গিয়েছে আমেরিকার এক প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সও যাচ্ছেন ইজরায়েলে। তিনি সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন।

