স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ জুন : রাজ্যে অবাধে ঢুকছে নেশা সামগ্রী। নেশাকারবারিরা নানান ভাবে বহিঃরাজ্য থেকে রাজ্যে নিয়ে আসছে ব্রাউন সুগার, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট সহ অন্যান্য গন্ধহীন নেশা সামগ্রী। নেশার করাল গ্রাসে ধংস হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের যুব সমাজ। রাজ্য সরকার নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার কথা বললেও ত্রিপুরা রাজ্য ক্রমশ নেশার করাল গ্রাসে চলে যাচ্ছে। তবে নেশার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান জারি রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন উত্তর জেলা পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে নেশা সামগ্রী।
রবিবারও উত্তর জেলা পুলিশের হাতে ধরা পড়ল আনুমানিক চার কোটি টাকার ব্রাউন সুগার। উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বাগবাসা থানার পুলিশ এই ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে। উত্তর জেলার পুলিশ সুপার জানান জেলা পুলিশের নিকট গোপন সংবাদ ছিল একটি গাড়িতে করে বিপুল পরিমাণ নেশা সামগ্রী রাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই মোতাবেক পুলিশ নেশা সামগ্রী উদ্ধারের জন্য চেষ্টা জারি রাখে। অবশেষে বাগবাসা থানার অন্তর্গত আসাম-আগরতলা জাতিয় সড়ক থেকে একটি নাম্বার বিহীন মালবাহী গাড়ি আটক করা হয়। গাড়িটি ক্রয় করা হয়েছিল ২০২৪ সালের মার্চ মাসে।
গাড়িটিতে তল্লাসি চালানোর পর উদ্ধার হয় ৩৪ প্যাকেট ৪০৮ গ্রাম ব্রাউন সুগার। যার কালোবাজারি মূল্য আনুমানিক ৪ কোটি টাকা। একই সাথে আটক করা হয়েছে গাড়িতে থাকা দুই জনকে। ধৃতরা হল সোনামুড়ার মাণিক্য নগর এলাকার বাসিন্দা সোহেল মিয়া ও বক্সনগরের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস এক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে বাগবাসা থানায়। ধৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে শিলচর থেকে তারা এই ব্রাউন সুগার নিয়ে এসেছে।সোমবার ধৃতদের পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ। ধৃতদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ জানার চেষ্টা করবে তারা এই ব্রাউন সুগার কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল। এবং তাদের সাথে আর কে কে যুক্ত রয়েছে। এখন দেখার পুলিশ এই নেশা বাণিজ্যের মূল মাস্টার মাইন্ডকে জালে তুলতে সক্ষম হয় কিনা।