Tuesday, October 22, 2024
বাড়িখেলা‘ভারতকে ভয় পায় না এই ইংল্যান্ড দল’

‘ভারতকে ভয় পায় না এই ইংল্যান্ড দল’

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৬ জুন: এখনও পর্যন্ত সাত ম্যাচের ছয়টিতে জিতে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়া জয়ের জন্য সেভাবে তাদের বেগ পেতে হয়নি কোনো ম্যাচে। ইংল্যান্ডের অবস্থা ছিল উল্টো। একটা পর্যায়ে ছিটকে পড়ার অবস্থায় ছিল তারা। ভাগ্য অনেকটা ঝুলছিল সুতোয়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা সবার আগে।এমনিতে সেমি-ফাইনালের মতো ম্যাচে সাধারণত কোনো এক দলকে ফেভারিট বলা কঠিন। ভারত-ইংল্যান্ডের মতো দুই দলের লড়াইয়ে কাউকে এগিয়ে রাখাও যায় না হয়তো। তবে ভারত যেভাবে ছুটে চলেছে, তাদেরকে থামানোটা যে কোনো দলের জন্যই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

নাসের হুসেইন এখানে ফিরে তাকাচ্ছেন সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবারও দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। অ্যাডিলেইডে সেবার ভারতকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৬৯ রান তাড়ায় কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৬ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দেন দুই ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক বাটলার, ৪৭ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত হেলস।এবারের ম্যাচের আগে হুসেইনের মনে পড়ছে সেই ম্যাচের কথা।

“আমার বাজি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের পক্ষে। অ্যাডিলেইডের সেই সেমি-ফাইনালের স্মৃতিকে সঙ্গী করেই নামবে ইংল্যান্ড। আমার মনে হয় না, এই ইংল্যান্ড দল ভারতকে ভয় পায়।”ইংল্যান্ডকে নিয়ে একটি শঙ্কা অবশ্য হুসেইনের আছে। উইকেট যদি মন্থর ও স্পিন সহায়ক হয়, তাহলে বিপদে পড়তে পারে বাটলারের দল।“যদি খুব শুষ্ক ও ধীরগতির পিচ হয়, তাহলে অবশ্য একটু ভিন্ন। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে একটি ব্যাপারই বলার আছে, বাটলার ও সল্ট যদিও যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দিয়েছে, তবে পিচে বল যদি একটু থমকে আসে এবং মন্থর হয়, তাহলে তাদের ব্যাটিং কিছুটা নড়বড়ে এবং সেক্ষেত্রে তা প্রবলভাবে ভারতের পক্ষে থাকবে। এই ধরনের উইকেটে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং নড়বড়ে।”সম্ভাব্য দুই ফাইনালিস্টের ক্ষেত্রে হুসেইনের সঙ্গে একমত আথারটন।

“আমার মনে হয়, ভারতকে হারাতে চলেছে ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা একটু বেশিই ভালো হয়ে উঠবে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড ফাইনাল হবে।”ভারতের বিপক্ষে গত সেমি-ফাইনালের একাদশে থাকা ৮ জন এবারও আছেন দলে। তাদেরই একজন, অলরাউন্ডার মইন আলির কণ্ঠেও ফুটে উঠল, ওই ম্যাচ থেকে প্রেরণা নিচ্ছেন তারা।“নিখুঁত এক ম্যাচ ছিল সেটি। যেভাবে আমরা তাদের ওপর দাপট দেখিয়েছি… ব্যাটিংয়ে আমরা ছিলাম অবিশ্বাস্য। দারুণ ব্যাটিং উইকেটে বল হাতেই জয়ের ভিত গড়া হয়েছিল আমাদের। শেষ দিকে যদিও কিছু রান ওরা করেছিল, তবে ততক্ষণে ওদের জন্য দেরিই হয়ে যায়, আমরা তা সহজে পেরিয়ে গেছি। দারুণ একটি দিন ছিল সেটি, অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য