স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : বিশালগড়ে দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সৃষ্টি হলো চাঞ্চল্য। এর মধ্যে একটি ঘটনা বিশালগড়ের কদমতলী এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিশালগড় কদমতলী এলাকার বাসিন্দা মায়া রানী দেবনাথ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। সংসারে তেমন কোনো ঝামেলা ছিল না। ওনার স্বামী বিশালগড় পোস্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে মায়া রানি দেবনাথ নিজ ঘরের জানালায় ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন। মায়া রানী দেবনাথের বয়স আনুমানিক ৭৫ বছর। পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ সময় ধরে মায়া রানী দেবনাথকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তখনই মায়া রানি দেবনাথের ছেলের বৌ দেখতে পায় মায়া রানি দেবনাথ নিজ ঘড়ের জানালায় ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুরু করলে পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। খবর দেওয়া হলো বিশালগড় থানায়। বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরদিকে রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম রাকেশ আচার্য, বয়স আনুমানিক ৩৪ বছর। ঘটনা বিশালগড়ের মুরাবাড়ি এলাকায়। মৃত যুবকের মায়ের বক্তব্য রাকেশ আচার্য পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি।
বুধবার সকালে সে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে, কিন্তু রাকেশের হদিস পায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মিসিং ডায়েরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই মধ্যে বিশালগড় কেন্দ্রিয় কারাগার সংলগ্ন চা-বাগান থেকে উদ্ধার হয় রাকেশের মৃতদেহ। রাকেশের দেহ মাটিতে পরে রয়েছে। গলায় একটি গামছা বাধা রয়েছে। পরিবারের লোকজনদের ধারনা রাকেশকে হত্যা করা হয়েছে। এইদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। এইটি আত্মহত্যার ঘটনা নাকি হত্যার ঘটনা, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।